দুই যুগেও ‘দুই দিন’ লাগে প্রশাসনিক কাজে

প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৪, ১৪:৫০ | অনলাইন সংস্করণ

  পবিপ্রবি প্রতিনিধি:

রাত পোহালেই দুই যুগের পূর্ণতা পাবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)। দুই যুগ ধরে নামের সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি থাকলেও শিক্ষার্থীদের এনরোলমেন্ট, এন্ট্রি ফর্ম পূরণ, সার্টিফিকেট উত্তোলনসহ যাবতীয় প্রশাসনিক কাজে লাগে নাই প্রযুক্তির ছোঁয়া। তাইতো দুই যুগ পরে এসেও প্রতিটি কাজে সময় লেগে যায় ‘দুই দিন’, কখনো তারও বেশি।

সোমবার (৮ জুলাই) পবিপ্রবির ২৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে সামনে রেখে প্রশাসনিক কাজে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা উঠে এসেছে।

আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের শিক্ষার্থী মীর মোহাম্মদ নূরুন্নবী বলেন, আমরা সার্টিফিকেট, স্বাক্ষর বা অন্যান্য কাগজপত্র তুলতে গেলে অধিকাংশ সময়েই অফিসে কাউকে পাই না। আবার, এক অফিস থেকে অন্য অফিসে দৌড়ানো লাগে, বৃহস্পতিবার গেলে রোববার যেতে বলে। কখনো দেখা যায়, এই রকম কয়েক রোববার চলে যায়, তবুও কাঙ্ক্ষিত প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট, কাগজের দেখা মিলে না। আমি এই তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার একজন ভুক্তভোগী।

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী শাদমান সাকিব পলক বলেন, এখন স্কুল কলেজেও শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফিসহ যাবতীয় পাওনাদি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করে। অথবা একটি নির্দিষ্ট স্থানে কিংবা ভ্রাম্যমাণ বুথের মাধ্যমে একই স্থানে সব প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে। কিন্তু আমরা বিজ্ঞান ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও হাতে কাগজ নিয়ে হল থেকে প্রশাসনিক ভবন, অ্যাকাডেমিক ভবন, ব্যাংক এভাবে চক্রাকারে ঘুরতে থাকি। ক্লাস, পরীক্ষা যতই ব্যস্ততা থাকুক এসব কাজে লেগে যায় দুই দিন সময়। কখনো তার চেয়েও বেশি। দরকার পরিবর্তন। নয়তো এই দুর্ভোগের শিকার হবে অনাগত নবীনরাও।

কৃষি  অনুষদের শিক্ষার্থী আতিক রাহাত রহমান বলেন, যখনই এনরোলমেন্ট কিংবা এন্ট্রি ফর্ম পূরণের সময় আসে, ‘নীল রিসিট’ দেখলেই কষ্ট  লাগে। ডিজিটাল বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও টাকা জমা থেকে শুরু করে এই সেই স্বাক্ষর সবকিছুই ম্যানুয়ালি দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ ভোগান্তির নামান্তর। তাই দুইযুগ পূর্তিতে এটাই প্রত্যাশা চালু হোক অটোমেশন। রাবির মতো ক্যাশলেস কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা অথবা একই স্থানে এসব কাজ সম্পন্ন করার ন্যূনতম সুবিধা চাই আমরা।

পবিপ্রবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক এবিএম মাহবুব মোর্শেদ খান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও অটোমেশনের কাজ চলমান আছে। আমাদের কন্ট্রোলার সেকশন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আশা করি, দ্রুতই বাকি কাজ সম্পন্ন হবে এবং শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগ দূর হবে।


আমার বার্তা/জান্নাতীন নাঈম জীবন/এমই