কৃষি-খাদ্যপ্রযুক্তি-জলবায়ু গবেষণায় যৌথভাবে কাজ করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ
বাকৃবি প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও কৃষি-শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে স্ট্রেংথেনিং এগ্রিকালচারাল টারশিয়ারি এডুকেশন প্রজেক্ট (এসএটিইপি) এর আওতায় এই কর্মশালা ও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (৩ নভেম্বর) বাকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত শনিবার ঢাকাস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের কৃষি ও খাদ্যপ্রযুক্তি খাতের গবেষণা ও মানোন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, জলবায়ু ব্যবস্থাপনাসহ কৃষি বিষয়ক উচ্চশিক্ষা শক্তিশালীকরণ।এসএটিপির ওই প্রকল্পের অধীনে ‘বাংলাদেশ ইনস্ট্রুমেন্টেশন সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড এগ্রিকালচারাল রিসার্চ’ নামে একটি উচ্চতর গবেষণা সেন্টার গড়ে তোলা হবে বলে জানা গেছে।এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় কৃষি শিক্ষার যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম প্রণয়নের পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে এবং একই সাথে প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষক ও কৃষি সম্পর্কিত শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে যোগসূত্র তৈরি করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) যৌথভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে এবং এতে অর্থায়ন করবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এবং কোরিয়ার এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ)।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, গত ৬৩ বছর যাবৎ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিথযশা শিক্ষক ও গবেষকবৃন্দ নিরলসভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান বিতরণ করে চলেছেন এবং ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। প্রকল্পটি দেশের কৃষি খাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও আধুনিক কৃষি গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং উচ্চতর কৃষি গবেষণা পরিচালনায় সহায়ক হবে।
তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এখানে কৃষি ও কৃষি প্রধান ৯ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং এতদসংশ্লিষ্ট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ এখানে গবেষণা করার সুবিধা পাবে। তিনি আরো বলেন বহিঃবিশ্বের সঙ্গে তাল রেখেই আমাদের চলতে হবে। আগামীর কৃষি যে যান্ত্রিক ও প্রযুক্তির কৃষি- সে কথা মাথায় রেখেই সরকার কাজ করছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কৃষির সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের নিজস্ব অংশগ্রহণের প্রশ্নে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে।
ওই সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড. জি.এম. মুজিবর রহমান, এডিবির হিউম্যান অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের সিনিয়র সোশ্যাল সেক্টর ইকোনোমিস্ট রিওতারো হায়াসি, বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক গোলাম হাফিজ, অধ্যাপক ড. শামসুল আলম ভূঞা, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশীদ, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আবুল হাসেম, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সৈয়দ মাহমুদুল হক, ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক মিসেস ফৌজিয়া ইয়াসমিন, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জনাব নাসের আহমেদ, বাকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ।
পরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আলাদা আলাদাভাবে বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশন এবং ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড এর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।