ঢাবিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:১৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কলা অনুষদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে গত তিন বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩) ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়।
অনুষদের ১৭টি বিভাগের মোট ১৫৬ জন শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়া দেশে/বিদেশে প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ এবং স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে ১০ জন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান প্রধান অতিথি এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন ডিনস অ্যাওয়ার্ড স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ ডিনস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ডিনস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী।
এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, অনুষদের শিক্ষক ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে অনুষদের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্বেরও আয়োজন ছিল।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- বাংলা বিভাগের মাহফুজা মাহবুব, ইংরেজি বিভাগের জেরিন তাসনিম রাইসা, মানতাহা কিশোয়ার, মো. সারোয়ার কামাল ভূঁইয়া, তাওসিফ এহসান, আয়শা আক্তার সুমি, মোসা. ঈশিতা হক, লাবিব রশিদ ইনান এবং তাশরিফা ফাইরুজ, আরবি বিভাগের মাসুদুর রহমান, আবদুল্লাহ মজুমদার, আতহারুল ইসলাম শহিদ, তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, মুনতাসির আহমদ মুয়াজ, মাহমুদুল হাসান, এজাজুল হক, মো. সাজ্জাদ হোসেন খান, সামিয়া জাহান, মিজানুর রহমান, নাজমুস সাকিব, হোসাইন আহম্মদ, ইয়াসির মাহমুদ, হাসমত আলী, মাহমুদুল আহসান, মুনতাসির আহমদ, আরফাতুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, ইমরান হোসাইন, ওমর ফারুক, জেসমিন ইসলাম তাপসী এবং মোহাম্মদ আব্দুর রহমান মাহদি, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সায়মা আক্তার, মো. খায়রুজ্জামান, মোসা. ফাহিমা সুমাইয়া, মো. ইশরেকাত হাসান ইমন, মাহমুদা আক্তার এবং শান্তা আক্তার, উর্দু বিভাগের সৈয়দা জাসিয়া আলী, মোসা. আলপনা আক্তার, মো. আবু সাজিদ, নাকিবা আজিম এবং মো. হাবিবুল্লাহ মুসকান, সংস্কৃত বিভাগের অনিক চন্দ্র বিশ্বাস, মধু কুমার রায়, উম্মে তামান্না সুলতানা কুয়াশা, সুমি রাণী দাস এবং তমা রাণী সরকার, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের পিয়া দাস, অধিবাসী রায়, তানজিলা আক্তার এবং প্রতিভা চাকমা, ইতিহাস বিভাগের মো. হাসাইবুর রহমান, সোনিয়া আক্তার, মো. হাসিবুর রহমান, মো. মেহেদী হাসান, আবু তৈয়ব, সৌরভ মিয়া, অনন্যা আক্তার, তাসনিম মোস্তফা, পূজা দাস, ফারজানা পারভিন, সুষ্মিতা বাড়ৈ, অর্জুনা আক্তার, সুরাইয়া ইয়াসমিন সূচনা এবং রূপম রোদ্দর, দর্শন বিভাগের সানজিদা ইমু, তামান্না খাতুন, শায়লা ইসলাম নিপা এবং মো. ইমরান হোসাইন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাঈদ নাকিব, মো. হাসান তারেক খান, মো. মাজহারুল ইসলাম, রাকিজাতুল জান্নাত, কাজী নাঈম সিদ্দিকী, মোহাম্মদ জায়েদ, মো. মাহমুদুর রহমান, মো. আমির ফয়সাল, মো. আহমদ্দুল্লাহ, উম্মে কুলসুম, তাসলিমা আক্তার অণু, জাকিয়া খাতুন, নাসরিন আক্তার, মো. সাখাওয়াত হোসাইন সাব্বির এবং মো. নুর আলম, খায়রুন নেসা, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোসা. শাহিনা খাতুন, রুজেল মিয়া, মো. রুমন হোসাইন, জিনাত আরা মুনা, জাহানারা, আফসানা নূর ফাবি, রেশমা আক্তার, ইশিতা খাতুন, মো. তৌহিদুল ইসলাম, হোসনে আরা, মুবাশ্বিরুজ্জামান হাসান, আবু আহমদ মুহিবুল্লাহ এবং সাফা আহমদ, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের মণীষা সাহা, কাজী মোস্তফা জামান, আশিক রায়হান, সানজিদা ইসলাম বুশরা, ফারিহা তাসনিম শ্রুতি এবং মো. হাসনাইন, থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের নিকিতা আজম , মোসা. নাসরিন সুলতানা, রিফাত করবী, তাহসিন নূর মৃত্তিতা, মুনিরা মাহজাবিন, মো. আশরাফুল ইসলাম, জাদিদ ইমতিয়াজ আহমেদ এবং মো. আল মামুন, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নওয়াজ শরিফ শুভ, প্রজ্ঞা সাহা, স্মৃতি আক্তার, মো. শাহাজালাল বাদশা, শুদ্ধ এম তৌসিফ এবং শাশ্বত সরকার, সংগীত বিভাগের কমল দত্ত, নূরে জান্নাত আফরিস, অর্পিতা দে এবং নুসরাত জাহান। বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের লুৎফন নাহার, অমৃতা পাল, জান্নাতুল ফেরদৌস, রাগিব আনজুম, দেবাশিস দাস, সুস্ময় দেব বর্মন এবং শিখা রাণী দাস, নৃত্যকলা বিভাগের মূর্ছনা দেবনাথ, লাবনী বন্যা, রিফাহ তাসনিয়া তিশান, সুরাইয়া কবির এবং তন্বি সরকার।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার এবং ড. মো. মুমিত আল রশিদ, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু সায়েম, ড. শাফী মো. মোস্তফা এবং অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ড. শান্টু বড়ুয়া এবং ইংরেজি বিভাগের ড. কামরুল হাসান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, মেধাকে মূল্যায়ন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। একই সঙ্গে অভিভাবকদেরও আমরা সঙ্গে রাখতে পেরেছি। আসলে আপনারাও আমাদেরই অংশ।
উপাচার্য বলেন, মেধার অন্যতম ভিত্তি হলো পরিশ্রম। মনে রাখতে হবে, সাফল্যের পেছনে অনেকের অবদান থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের যে পরম্পরা, তা তোমরা ধরে রেখেছ। এটাই আমাদের গর্ব।
উপাচার্য আরও বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা পড়াশোনাকে কিছুটা হলেও স্বীকৃতি দিতে পেরেছি। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকেও সময় দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার ও শিক্ষাজীবনের ভারসাম্যই ভবিষ্যৎকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, এই প্রোগ্রাম আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক গর্বের। মেধার স্বীকৃতি দিতে পারা সত্যিই এক ধরনের সার্থকতা। একজন শিক্ষক হিসেবে এটি বড় সফলতা যে তার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। এ অর্জনের পেছনে বাবা-মায়েদের অবদান কখনো ভুলে যাওয়া যাবে না
সভাপতির বক্তব্যে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, আজকের এই আয়োজন আমাদের জন্য এক গৌরবময় ও বিশেষ উদযাপনের দিন। তবে শুধু এই অর্জনে আত্মতুষ্ট হয়ে থেমে গেলে চলবে না। বরং এই স্বীকৃতি আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা চিন্তা ও কর্মে সর্বদা সৎ থাকবে। অর্জিত জ্ঞানকে অহংকারের কারণে নয় বরং সমাজের কল্যাণে উদারভাবে বিলিয়ে দিতে হবে।
আমার বার্তা/এমই