ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতের পিঠা ও গ্রামীণ সাজ উৎসব অনুষ্ঠিত
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:০৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

শীতের পিঠা ও গ্রামীণ সাজসজ্জায় হৈমন্তী উৎসবের আয়োজন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘তারুণ্য’। রোববার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।
উৎসবস্থলে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের উৎসবমুখর উপস্থিতি। কেউ নিজ হাতে তৈরি পিঠার স্টল সাজাচ্ছেন, কেউবা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন কোণে ছবি তুলছেন। কেউ ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ব্যস্ত আর কেউ কেউ কোনায় বসে বই পড়ছেন। স্টলে পুলি, দুধ চিতই, নকশি পিঠা, জামাই পিঠা বাহারি এসব শীতের পিঠার সঙ্গে খিচুড়ি, আলুর চপ, মরিচ ভর্তা ও ডিমের দো-পেঁয়াজ দিয়ে খিচুড়ির আয়োজনও নজর কাড়ে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হেমন্তকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আনন্দঘন ও নিরাপদ মিলনমেলার পরিবেশ তৈরি করতেই তাদের এ উদ্যোগ। আয়োজনে খাবারের সাজসজ্জা থেকে শুরু করে পুরো পরিবেশেই গ্রামীণ ছোঁয়া নিয়ে আসেন তারা। এছাড়া শিক্ষার্থীরা স্মৃতি ধরে রাখতে পারে এজন্য বিশেষ ফটোফ্রেম ও ফটো কর্নারেরও ব্যবস্থা করা হয়। আয়োজকদের প্রত্যাশা করেন তারুণ্যের এই হৈমন্তী উৎসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে একটি সুন্দর ও স্থায়ী রঙ যোগ করবে।
উৎসবে এসে আল ফিকহ অ্যান্ড ল’ বিভাগের শিক্ষার্থী সানজামুল আহমেদ অপু বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'তারুণ্য' আজ এক সুন্দর হৈমন্তী উৎসবের আয়োজন করেছে। এ উৎসবে দুপুরের খাবার ও শীতকালীন পিঠাপুলি পরিবেশনের পাশাপাশি তারা ক্যাম্পাসে বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে যে দৃষ্টিনন্দন 'উন্মুক্ত লাইব্রেরি' তৈরি করেছে সেটি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। এ ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য, সজীবতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যা সকলের মাঝে আনন্দ ও সমন্বয় সৃষ্টিতে সহায়ক।
তারুণ্যের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহম্মেদ হিমেল বলেন, ‘সৃজনশীলতা, বন্ধুত্ব এবং সাংস্কৃতিক চর্চাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে তারুণ্যের পক্ষ থেকে এ হৈমন্তী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ, আনন্দঘন এবং উন্মুক্ত পরিবেশে উৎসবটা যাতে পালন করতে পারে।’
আমার বার্তা/এল/এমই
