মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতির অবৈধ ছাগলের হাট

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৪, ০০:০৪ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

ইজারা নেই, নেই বৈধতা৷ তবুও কেবল ক্ষমতার জোরে ছাগলের হাট বসিয়ে রমরমা ব্যবসা জুড়েছেন মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান রাসেল। অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রলীগের পদধারী হওয়ায় জবাবদিহিতার বাহিরেই থেকে যাচ্ছেন তিনি। 

ঢাকা-১৩ আসনের সবচেয়ে জনবহুল জায়গা হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার৷ এই বাজারের বিপরীতে লালমাটিয়া ত্রিকোণ পার্ক। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আলেয়া সারোয়ার ডেইজি এই পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। স্থানীয়দের জন্য অবকাশ যাপনের জায়গা হিসেবে পার্ক নির্মাণ করা হলেও তা বরাবরই থাকে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের দখলে। 

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'পার্ক তো পাবলিকের জন্য না, ছাত্রলীগের জন্য। যেখানে একটা রাজনৈতিক কার্যালয় আছে, সেখানে সাধারণ লোকজন বসে শান্তি পায়?'

এবার সেই পার্কের সামনেই গড়ে তোলা হয়েছে ছাগল বিক্রির হাট। অনুমোদনহীন এই হাটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান রাসেল। 

শনিবার রাতে ইজারাবিহীন হাটটি ঘুরে দেখা যায়, টেবিল পেতে কিছু যুবক হাসিল আদায় করছেন। টেবিলের দুই পাশে পার্কের উত্তর অংশের পুরো ফুটপাত জুড়েই বিক্রির উদ্দেশ্যে ছাগল রাখা হয়েছে। 

বিক্রিত ছাগলের উপর ৫ শতাংশ হারে নেয়া হচ্ছে হাসিল। আর সে হাসিল আদায়ের টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন ৩৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন। এছাড়া থানা ছাত্রলীগ সভাপতির বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত নেতাকর্মীদের দেখা গেছে এই অবৈধ হাটের হাসিল গ্রহণের কাজে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেন মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান রাসেল। তিনি বলেন, 'হাটের সঙ্গে ছাত্রলীগ বা আমি জড়িত নেই। এখানে আসলে কোনো হাট নেই। কিছু মানুষ ফুটপাতে ছাগল বিক্রি করে৷ এটা অনেক আগে থেকে হয়ে আসছে। আমি যখন ছাত্রলীগের কোনো দায়িত্বে ছিলাম না, তখনও এখানে ছাগল বিক্রি হতো।'

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, শুধু চলতি বছর নয়। গত বছরও একই স্থানে ছাত্রলীগের ক্ষমতাবলে ছাগলের হাট বসিয়েছিলেন এই থানা ছাত্রলীগ নেতা। 

ইজারা না থাকার পরেও জনবহুল স্থানে হাট বসানোর বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও স্থানীয়দের মাঝে প্রশ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহফুজুল হক ভুইয়াকে ফোন করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

আমার বার্তা/এম রানা/জেএইচ