রাজধানীতে কোরবানি দিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত আহত ৩২০ জন

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৪, ১৯:২৪ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর শিংয়ের আঘাত, লাথি ও ছুরির আঘাতে এখন পর্যন্ত ঢামেকে ১৫৮ ও পঙ্গু হাসপাতালে ১৬২ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢামেক ও পঙ্গু হাসপাতালে মোট ৩২০  জনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ঢামেক জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত)ডাঃ খন্দকার মোহাম্মদ মেহেদী আমান  "আমার বার্তাকে"  এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোরবানি দিতে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আহত অবস্থায় আমাদের এখানে ১৫৮ জন চিকিৎসা নিয়েছে। আহতদের জরুরি বিভাগ থেকে সেলাই ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ডাঃ আমান বলেন, অধিকাংশ আহতদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি তারা জাত কসাই না হলেও অতিরিক্ত টাকার লোভে মৌসুমী কসাইয়ের কাজ করেছেন আজকে। ফলে অভিজ্ঞতা না থাকায় মাংস কাটতে গিয়ে অনেকেই এভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছে।ডেমরার সারুলিয়ায় গরুর শিংয়ের আঘাতে গুরুতর আহত মো. বাবুল (৫৫) নামে এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি দেয়া হয়েছে। তিনি হাসপাতালের ১০১নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

অপর দিকে পঙ্গু হাসপাতালের জরুরী বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মানস দাস জানান,আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত  পশু কোরবানি দিতে গিয়ে প্রায় ১৬২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে এলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এই আবাসিক চিকিৎসক।

যাত্রাবাড়ী থেকে কোরবানির পশু জবাই দিতে গিয়ে আহত মোঃ জিহাদ সরকার জানান আমাদের নিজেদের গরু কোরবানি দিতে গিয়ে হঠাৎ করে চাপাতি ছিটকে পায়ে পড়ে গেলে আমার পায়ের রগ কেটে যায়। তারপর চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে আসি।

আহত নুরুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী মোক্তার মুন্সি জানান, শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে  পশু কোরবানির কাজ করার জন্য ঢাকায় আসেন তারা। পেশায় কৃষিকাজ করলেও ঈদে বেশি টাকার  আশায় আজ ঈদের দিনে মৌসুমী কসাইয়ের কাজ নেন। অভিজ্ঞতা না থাকায় মাংস কাটতে গিয়ে হাতের কব্জির পাশে চাপাতি লেগে রগ কেটে যায় নুর ইসলামের। পরে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। 

ঢামেক হাসপাতালের আনসার সদস্যের প্লাটুন কমান্ডার(পিসি )মিজানুর রহমান বলেন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেড়শ জনের মত আহত হয়ে হাসপাতালে এলে জরুরী বিভাগে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসকদের পাশাপাশি আমাদের আনসার সদস্যরাও আহত রোগীদের জরুরী বিভাগে নিয়ে যেতে সাহায্য করছে।তিনি আরও জানান সময় বাড়ার সাথে সাথে আহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে।


আমার বার্তা/এম রানা/জেএইচ