হাতিরপুলের অফিস কক্ষে ঝুলছিল যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৪, ২২:২০ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাতিরপুল সি আর দত্ত রোডের নাহার প্লাজার ৯তলার একটি অফিস কক্ষ থেকে 

সেজানুর রহমান আনাস (২৩) নামে এক নিখোঁজ যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, আনিস শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার জালাল মুন্সির
ছেলে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল পশ্চিম পাড়া দরবার শরীফ রোডে থাকতেন।ওই যুবক পেশায় একটি লিফ্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির
সেলস এক্সিকিউটিভ ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেল ৫টার দিকে খবর পেয়ে ওই মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মোনায়েম।তিনি জানান,খবর পেয়ে নাহার প্লাজার নয়তলা থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।এ সময় ওই যুবক ফ্যানের হুকের সঙ্গে স্টিলের তার দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলো। এতে তার লাশ কিছুটা পচন ধরে গিয়েছিলো।

এস আই আরও জানান,নাহার প্লাজার ৯ম তলায় ঢাকা লিফট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির অফিস। ওই যুবক সেই অফিসের সেলস এক্সিকিউটিভ ছিলেন।

ঈদের ছুটি উপলক্ষে ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে বন্ধ ছিল অফিসটি। আর ২৫ জুন থেকে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা।

তিনি আরও জানান,ওই অফিসের মালিকের সাথে কথা বলে জানতে পারি,গত ২৫ জুন থেকে আনাসকে খুঁজে পাচ্ছিল না পরিবারের লোকজন। শুক্রবার দুপুরে কোম্পানির মালিক পারভেজ বাবু অফিসে গিয়ে ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। পরে অনেক দরজা ধাক্কাধাক্কির পর দরজা খুলে যায়। তখন ওই যুবককে অফিসের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, চারদিন আগে আনাস অফিসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

আব্দুল মোনায়েম আরও জানান, সাত মাস আগে একই এলাকায় বিয়ে করে আনাস। কিন্তু বাসা ছোট হওয়ায় স্ত্রীকে বাসায় তুলতে পারছিলেন না। এসব বিষয় নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করেন তিনি। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যান আনাস। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। 

মৃত আনাছের মামা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ৭ মাস আগে বিয়ে করেন আনাছ। কিন্তু বাসা ছোট হওয়ায় স্ত্রীকে বাসায় তুলতে পারছিলেন না। এসব বিষয় নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আসেন তিনি। এরপর থেকে মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। আজ তার অফিস থেকে ফোন আসলে তারা জানতে পারেন, আনিস গলায় ফাঁস দিয়েছেন।

আমার বার্তা/এম রানা/ জেএইচ