শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজধানীতে আজও তীব্র যানজট

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৪, ১৮:৩০ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, সায়েন্সল্যাব মোড়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, আগারগাঁও, মৎস্য ভবন মোড় ও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার পর এই অবরোধ শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। আর এই কর্মসূচি শুরুর পর আবারও অচল হয়ে পড়েছে রাজধানীর সড়ক। গতকালের মতো আজও সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে পুরো নিউমার্কেট, নীলক্ষেত ও সায়েন্স ল্যাবসহ আশপাশের এলাকা স্থবির হয়ে পড়েছে। নীলক্ষেত থেকে সায়েন্স ল্যাব অভিমুখের সড়ক, শাহবাগ থেকে সায়েন্স ল্যাব অভিমুখের সড়ক, ধানমন্ডি এবং মোহাম্মদপুর থেকে সায়েন্স ল্যাব অভিমুখের সব সড়কেই তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। এই সবগুলো সড়কেই আটকে থাকা যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) নবকুমার বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে কলাবাগান সাইন্স ল্যাব, ধানমন্ডি, নীলক্ষেত আশপাশের এলাকায় অধিকাংশ সড়ক বন্ধ। কালকের মতো আজও গাড়ি চলাচল করতে পারছে না।

গুলিস্তান থেকে ধানমন্ডিমুখী এক পথচারী বলেন, অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলাম। কিন্তু একটু পরেই অবরোধের মুখে পড়তে হলো। এখন বাস থেকে নেমে হেঁটে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেব। এছাড়া আর উপায় নেই। অবরোধ ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করলে রাত পর্যন্ত বসে থাকতে হবে।

অন্যদিকে শাহবাগ হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট হয়ে আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। যার ফলে এসব সড়কও তার আশপাশের এলাকার সড়কেও দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

এ বিষয়ে ডিএমপির কারওয়ান বাজার জোনের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) স্নেহাশীষ কুমার দাস বলেন, কোনো গাড়ি কারওয়ান বাজার থেকে শাহবাগের দিকে যেতে পারছে না। ফলে এ যানজট ফার্মগেট-তেজগাঁও ছাড়িয়ে বিজয় সরণি পর্যন্ত পৌঁছেছে।

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের একদফা দাবি হলো, সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।

এর আগে ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে সরকার। পরে ২০২১ সালে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করলে গত ৫ জুন এক রায়ের মাধ্যমে আবারও ফিরে আসে কোটা ব্যবস্থা।  

গত ১ জুলাই থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।


আমার বার্তা/এমই