কোটা আন্দোলন

সহিংসতায় সাংবাদিক পুলিশ সহ ৯০ জনের মরদেহ দাফনের জন্য হস্তান্তর

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৪, ১৬:০৫ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের নাশকতার সহিংসতায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী,বাড্ড ,রামপুরা , মহাখালী, মোহাম্মদপুর,লালবাগ, নিউমার্কেট সহ অন্যান্য এলাকা থেকে গত বুধবার ১৭ জুলাই থেকে আজ শুক্রবার ২৬ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের জন্য ৮২ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে এবং পরিচয় না পেয়ে ৮ জনের মরদেহ দাফনের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সহকারী মোঃ বাবুল জানান,নিহতদের মধ্যে
 সাংবাদিক.............=২জন
পুলিশ সদস্য.. ...... =২জন
আনসার সদস্য...... =১ জন
শিক্ষার্থী........ ...... =১৭ জন
ব্যবসায়ী....... ....... =১৫ জন
চাকরি জীবি........ =৯ জন
শ্রমিক.......... ...... =৫ জন
অজ্ঞাতনামা........ =৮ জন
কর্মচারী..... =১৪ জন
রিকসা/ভ্যান চালক=৭জন
ড্রাইভার............. =১ জন
অন্যান্য............... =৯জন
-----------------------------------------
                    মোট=৯০জন।

নিহতদের পরিসংখ্যানের বিষয়টি আরেকটু সহজভাবে দেয়া হল--
১০ বছরের কম =৩ জন
১১ থেকে ১৮ =১১জন
১৯ থেকে ৩০ =৪৮ জন
৩১ এর বেশি =২৮ জন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুক্রবার আহতদের দেখতে গিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে বলেন,কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতার‍ ঘটনায় আহতেরা যেই দলেরই হোক না কেন সরকার তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে । এ সময় তিনি আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।

এর আগে গত ২৩ জুলাই দুপুর পৌনে বারোটার দিকে সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ সামন্ত লাল সেন ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ রোকেয়া সুলতানা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আসেন।

এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, রাজধানীসহ সারাদেশে এই ধরনের হামলায় দুস্কৃতিকারীদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত। সারাদেশ সাংবাদিক সহ যারা মারা গেছেন তাদের জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত এবং সমবেদনার পাশাপাশি নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ রোকেয়া সুলতানা জানান,এ সহিংসতায় প্রায় ১০৭১ জন আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে এলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় ‌এর মধ্যে ৪০ টি হেড ইনজুরি অপারেশন করা হয়েছে।এ সময় ২৭৮ জনকে ভর্তি দেয়া হয়েছে।ঢাকা মেডিকেলে ১৯ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এবং ৬০ জনকে ব্রডডেড ঘোষণা করা।

আমার বার্তা/এম রানা/জেএইচ