আ.লীগ আমলে ফুটপাতে চাঁদাবাজি করে কোটিপতি জুয়েল মুন্সী

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৪১ | অনলাইন সংস্করণ

  আনিছ মাহমুদ লিমন:

রাজধানী মিরপুর ১ নম্বরে ফুটপাতের কুখ্যাত চাঁদাবাজ জুয়েল বেপারী (ওরফে জুয়েল মুন্সী)  গত আওয়ামী সরকারের আমলে মিরপুর ১৪ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি হয়ে যিনি এসেছেন তার ছায়াতলে থেকে ঠিকঠাক চালিয়ে গেছেন তার চাঁদা বানিজ্য।

৪ আগস্ট  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের প্রতিহত করতে ঢাকা চৌদ্দ আসনের এমপি মাইনুল ইসলাম খান নিখিলের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাস ভাড়া করে শ্রমিক ও হকার্স লীগের লোকজন নিয়ে মিরপুর ১০ নাম্বরে ছাত্রদের উপরে হামলা করে।

শেখ হাসিনা সরকার ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করার পরে শাহ্ আলী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। এই হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি এই চাঁদাবাজ জুয়েল মুন্সি ওরফে সিকিউরিটি জুয়েল,  সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী হকার্স লীগ শাহ আলী থানা।  এই জুয়েল মুন্সির বিরুদ্ধে শাহা আলী থানায় হত্যা মামলা হলেও থেমে নেই ফুটপাত  থেকে  চাঁদাবাজি। মিরপুর ১ নাম্বার মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট ছিন্নমূল মার্কেট সিটি কর্পোরেশন মার্কেট এর ফুটপাতের আড়াই শতাধিক দোকান থেকে প্রতিদিন তুলেন চাঁদা।

ফুটপাতের দোকান দখল করতে  যখন তখন যে কাউকে দোকান সহ তুলে দিয়ে অন্যজনের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে তাকে বসাতে রয়েছে তার কিশোরগ্যাং বাহিনী।

বিগত আওয়ামী লীগের আমল থেকে শুরু করে এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন তার রমরমা চাঁদাবাজি বাণিজ্য, এই জুয়েল মুন্সী চাঁদাবাজির টাকায় শুরু করেছেন ল্যান্ড ব্যবসা কিনেছেন কোটি টাকার জায়গাও। আশুলিয়ার আঁখরাইনে কিনেছেন ৭৩ সতক জমি, কাউন্দিয়া পশ্চিম পাড়া মাদ্রাসা  মসজিদে সামনে স্ত্রীর নামে কিনেছেন ৫ সতক জমি।

দোকানদারদের মুক্তিযোদ্ধা হকার্স সমিতির কথা বলে এই চাঁদাবাজ জুয়েল মুন্সি, প্রতিদিন ফুটবাতের হকার দের কাছথেকে দশ টাকা করে আড়াই শতাধিক দোকান থেকে চাঁদা তুলত ২৫০০ টাকা, এই সমিতি পরিচালনা করেন তিন বছর মেয়াদ শেষে যখন এই সমিতির সদস্যরা জুয়েল মুন্সির কাছে টাকা ফেরত  চান তখন তিনি টাকা দিতে নয় ছয় শুরু করেন।

এবিষয়ে শাহ্ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসানের কাছে জানতে তিনি বলেন আমার থানা এলাকায় ফুটপাতে কোন চাঁদাবাজি চলবে না  যদি কেউ চাঁদাবাজি করে সে যে দলেরই হোক না কেন তাকে গ্রেফতার করে আইনানবুক ব্যবস্থা গ্রহণ করিব।


আমার বার্তা/এমই