একুশের প্রহর
সকালের খরা কাটিয়ে বিকেলে জমে উঠল বইমেলা
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার। এদিন অমর একুশে বইমেলার দ্বার খোলা হয় সকাল ৭টায়। কিন্তু দুপুরের পরও দর্শনার্থী ও ক্রেতা-পাঠকদের উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়েনি। তবে বেলা বাড়ার পর বিকেলের দিকে বেড়েছে জনসমাগম, বেড়েছে বই বিক্রি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলায় তরুণদের উপস্থিতি বেশি। ছুটির দিন হওয়ায় বেশিরভাগ দর্শনার্থীই সপরিবারে এসেছেন।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মেলায় এসেছেন ইয়াকুব খান। তিনি বলেন, সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছি। সারাদিন ঘোরাঘুরি করে পুরান ঢাকায় দুপুরের খাবার খেয়েছি। এখন বই মেলা ঘুরে ঘুরে দেখছি। বাচ্চাদের জন্য কিছু বই কিনবো।
প্রথমা, অনন্যা, তাম্রলিপিসহসহ বেশ কয়েকটি স্টল ঘুরে বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, অন্য দিনের তুলনায় বই বিক্রি বেশি। তবে ছুটির দিন এবং একুশের দিনে যতটা আশা করা হয়েছে তার তুলনায় কিছুটা কম।
বিক্রেতারা জানান, সকাল থেকে পাঠকদের উপস্থিতি সেই অর্থে ছিল না। দুপুরে মেলায় আসা পাঠক-দশনার্থীদের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। বিকেলের দিকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বই বিক্রিও হচ্ছে।
অনুপম প্রকাশনীর এক বিক্রেতা জানান, সকালে জনশূন্য ছিল। বিকেলে লোকজন বেড়েছে, বিক্রিও হচ্ছে। যে পরিমাণ লোকসমাগম সে তুলনায় বিক্রি কম।
নবকথন, স্বজনী, ছায়া, ভাষাচিত্র, সতীর্থ প্রকাশনাসহ বেশ কয়েকটি প্রকাশনার বিক্রেতারাও একই তথ্য জানান।
সিয়াম খান উত্তরা থেকে বই মেলায় এসেছেন। তিনি জানান, বন্ধুদের সঙ্গে মেলায় এসেছেন। বই কেনার বিষয়ে তখনো সিদ্ধান্ত নেননি।
বইমেলার জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, একুশে ফেব্রুয়ারির দিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
এবারের বইমেলায় ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ৮৪ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতবছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি, আর ইউনিট ছিল ৯৪৬টি।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকছে ৩৬টি। গত বছরও প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি ছিল।
লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায় করা হয়েছে। সেখানে ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, শিশু চত্বরে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছর শিশু চত্বরে ৬৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১০৯ ইউনিট দেওয়া হয়েছিল।
আমার বার্তা/এমই