নারীবিদ্বেষী প্রচারণা বন্ধে রাষ্ট্রকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১৭:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

নারী বিদ্বেষী সব প্রচারণা বন্ধে রাষ্ট্রকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি নারীর প্রতি সংঘটিত সহিংসতার বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত নারীর সমতা বিরোধী, মর্যাদা হানিকর বক্তব্য ও আচরণের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ফাওজিয়া মোসলেম বলেন, গত ৩ মে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন এবং তাদের প্রস্তাবনা বাতিলের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে নারীদের প্রতি চরম অসম্মানজনক, বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক আচরণ প্রদর্শন করা হয়েছে, যা সমগ্র নারী সমাজসহ দেশবাসীকে স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। এই ধরনের বর্বরোচিত আচরণ ও বক্তব্য কোনো সভ্য দেশ ও সমাজের পরিচয় বহন করে না। দেশব্যাপী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেরিতে হলেও হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রচলিত নারীবিদ্বেষ, নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ ও ভাষা নারীর স্বাধীন চলাফেরাকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাতে চাচ্ছে। যেখানে সেখানে নারীর পোশাক, সাজসজ্জা ও চলাফেরা নিয়ে জনসমক্ষে নারীকে অপমান করা হচ্ছে। গণপরিসরে নারীকে নানাভাবে শারীরিক ও মৌখিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এটা সুস্থ দেশ ও সমাজ গঠনের জন্য প্রতিবন্ধকতাস্বরূপ।
এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছু দাবি তোলা হয়:
১. নারীবিদ্বেষী সব প্রকার প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
২. মব সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের তাৎক্ষণিকভাবে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং মব সহিংসতার অবসান ঘটানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. নারীর প্রতি সব প্রকার সহিংসতার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৪. গণমাধ্যমকে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের লক্ষ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. সব ক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা বৃদ্ধিসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি উন্নয়নে অতিসত্ত্বর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬. রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।
৭. বিজ্ঞানভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক, জেন্ডার সংবেদনশীল, অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারমুক্ত, মানবাধিকারের মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষানীতি এবং তার আলোকে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
আমার বার্তা/এল/এমই