ঢাকায় সিঙ্গাপুরের ৬০ তম জাতীয় দিবস পালিত
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২১ | অনলাইন সংস্করণ
রানা এস এম সোহেল:

রাজধানী ঢাকায় সিঙ্গাপুরের ৬০ তম জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার সিঙ্গাপুরের ৬০তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকাস্থ সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লোহ ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিচেল লি’র আমন্ত্রণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন । এছাড়াও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, কূটনীতিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ ও সিভিল সোসাইটির ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসী হাই কমিশনার ডেরেক লোহ তাঁর বক্তব্যে সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতার কথা তুলে ধরে বলেন, সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতা ইচ্ছাকৃত ছিল না। আমাদের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ সিঙ্গাপুরকে প্রাকৃতিক দেশ নয় বরং মানবসৃষ্ট দেশ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
স্বাধীনতার ৬০ বছরে আমরা তৃতীয় বিশ্ব থেকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি। ভৌতভাবে, আমরা একটি কাদামাটির জলাভূমি থেকে একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় উদ্যান নগরীতে রূপান্তরিত হয়েছি। অর্থনৈতিকভাবে, আমরা একটি ব্রিটিশ আউটপোস্ট থেকে রূপান্তরিত হয়েছি যা এন্ট্রিপোট বাণিজ্যের উপর নির্ভরশীল ছিল এবং বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি আর্থিক কেন্দ্রের একটি, বহুজাতিক কোম্পানিগুলির জন্য একটি আঞ্চলিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র এবং নগর উন্নয়ন, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং স্থায়িত্বের উদ্ভাবনের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
তিনি সিঙ্গাপুর- বাংলাদেশের সম্পর্কের গভীরতা সম্পর্কে বলেন, SG60 আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক উদযাপনের একটি উপলক্ষ। তাছাড়াও এই বছর সিঙ্গাপুর এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫৩তম বছর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডা এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের ৬০তম জাতীয় দিবস উদযাপনে আপনাদের সাথে যোগ দিতে পেরে আমি সম্মানিত। এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানে আমি সিঙ্গাপুর সরকার এবং জনগণকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাই।
আমাদের দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে একটি বন্ধন রয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম অগ্রণী দেশ ছিল, যা আজ আমরা যে স্থায়ী অংশীদারিত্ব উদযাপন করি তার ভিত্তি স্থাপন করেছিল। এই উপলক্ষটি আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে এমন ভাগ করা মূল্যবোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সহযোগিতামূলক মনোভাবের স্মারক হিসেবে কাজ করে।
তিনি সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশী কর্মীদের কথা তুলে ধরে বলেন, সিঙ্গাপুরে প্রায় ১,৫০,০০০ বাংলাদেশি কর্মী কাজ করেন, যাদের সকলেরই বৈধ মর্যাদা রয়েছে। আমাদের এই শক্তিশালী প্রবাসী কর্মীরা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অর্থপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন এবং আমাদের দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছেন । উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য সিঙ্গাপুর আমাদের জন্য একটি বিশ্বস্ত গন্তব্য, যা আমাদের জনগণের সাথে জনগণের সম্পর্ককে আরও জোরদার করে।
পরিশেষে তিনি তাদের আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজকের আতিথেয়তা এবং এই সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আমি চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স এবং তার দলকে ধন্যবাদ জানাই। এই উদযাপন বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ভাগ করা আকাঙ্ক্ষা এবং স্থায়ী বন্ধুত্বের উদযাপন হোক।
আমার বার্তা/এমই