তীব্র তাপদাহে সাটুরিয়ার কৃষকরা বোরো ধানে হিটশকের শঙ্কায়
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আবাদ হয়েছে বোরো ধানের। ইতোমধ্যে অনেক ক্ষেতের ধানের শীষ সোনালি রং ধারণ করতে শুরু করছে। ১০থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কৃষকেরা তাদের ক্ষেতের উৎপাদিত ধান ঘরে তুলতে শুরু করবেন।এমন সময় বৈশাখের তীব্র দাবদাহে পুড়ছে মাঠের ফসল।
চলতি মৌসুমে উপজেলার কৃষকেরা বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন।কিন্তু সাটুরিয়ায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি এর মধ্যে উঠানামা করছে ফলে হিটশকে ধানের ক্ষতির আশংকায় চিন্তিত প্রান্তিক কৃষক।
তবে সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে,উপজেলার অধিকাংশ ক্ষেতের ধান পরিপক্ক হওয়া শুরু করেছে,ফলে তাপমাত্রা বাড়লেও ধানের তেমন ক্ষতির আশংকা নেই।তবে এ অবস্থায় কৃষকদের ধানের জমিতে পর্যাপ্ত পানি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস। ধানের জমিতে অবশ্যই দুই থেকে তিন ইঞ্চি পানি ধরে রাখতে হবে বলেও জানান।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে।
উপজেলার তিল্লি ইউনিয়নের পারতিল্লি গ্রামের কৃষক তাহাজ উদ্দিন বলেন, তিনি এ বছর ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করছেন। িএতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকার মতো।ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহ এবং অনাবৃষ্টিতে ক্ষেতের ধানের অনেক শীষই মরে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন প্রতিদিনই ক্ষেতে পানি দিচ্ছেন,কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি।
উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের তেবারিয়া গ্রামের কৃষক রাজামিয় বলেন, বছরের শুরুতে বোরো ধান আবাদের জন্য আবহাওয়া অনেকটা অনুকূলে ছিলো। যে কারণে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ছিল। তবে শেষ সময়ে এ তাপমাত্রা আমাদের চিন্তায় ফেলেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, দেশের বিরাজমান এই তাপমাত্রা ধানসহ অন্যান্য ফসলের জন্যও খুবই ক্ষতিকর। তবে সাটুরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বুরোর যে আবাদ হয়েছে,তার অধিকাংশ পেকে উঠতে শুরু করেছে। ফলে এসব ধানে হিটশকে ক্ষতির আশঙ্কা কিছুটা কম। কিন্তু যেসব এলাকায় বোরো ধানের শীষ এখনো পরিপক্ক হয়নি, সেসব এলাকার ধানক্ষেতে কমপক্ষে দুই-তিন ইঞ্চি পানি ধরে রাখতে হবে। যাতে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও, পানি থাকলে তা কুলিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করবে। তাপমাত্রা যদি ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে, তাহলে আর এ সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।
আমার বার্তা/মজিবর রহমান/এমই