দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৪, ১৬:২৭ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দ্রুততার সঙ্গে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা কাজ করছি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নব নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একজন বিচারপ্রার্থী যখন আদালতে আসেন তখন সর্বপ্রথম একজন আইনজীবীর সাহায্য খোঁজেন। বিচারপ্রার্থীগণ আইনের জটিলতা বোঝেন না, সেটা বোঝা তাদের পক্ষে সম্ভবও নয়। তারপরও তারা পরম নির্ভরতায় আইনজীবীর ওপর সম্পদ ও স্বাধীনতা রক্ষার গুরুভার অর্পণ করেন।

তিনি আরও বলেন, আইনপেশার শত বছরের সুনাম ও ঐতিহ্যই তাদের এই নির্ভরতার কারণ। এ নির্ভরতার সম্পর্ক আপনাদের জন্যে একটি আমানত। এ আমানত রক্ষা করার দায়িত্ব প্রত্যেক আইনজীবীর। আমি বিশ্বাস করি, পেশাগত দায়িত্ব সুচারুরূপে সম্পাদনের মাধ্যমে আইনজীবীগণ এ আমানত সর্বদাই রক্ষা করে চলবেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আইন পেশা গণতন্ত্রের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে, যার ওপর গড়ে ওঠে আধুনিক সমাজের সুবিন্যস্ত কাঠামো। আর এ সমাজের সদস্যদের জন্য সমতা ও ন্যায় বিচারের প্রত্যাশাস্থল হিসেবে নিয়োজিত থাকেন আইনজীবীগণ। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে, একজন আইনজীবীর সততা কেবল তার মক্কেলের প্রতি নয়, তার সততা ন্যায়বিচারের প্রতি। তাই ন্যায়ভিত্তিক কল্যাণকর সমাজ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইনজীবীগণকে আরও নিষ্ঠাবান ও কর্তব্যপরায়ণ হতে হবে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু আহসান টগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ অম্লান কুসুম জিষ্ণু।

প্রসঙ্গত, গণপূর্ত বিভাগ ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। ৭২ ব্যক্তির আসন বিশিষ্ট এই বিশ্রামাগারে নারী ও পুরুষের পৃথক টয়লেট ছাড়াও ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার রয়েছে। এটি উদ্বোধনের পর বিচারপতি আদালত চত্বরে একটি বকুল ফুলের গাছের চারা রোপণ করেন।


আমার বার্তা/এমই