চাকরি ছাড়লেন পুলিশের আলোচিত সেই অতিরিক্ত ডিআইজি

প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৪, ১৪:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে ছোট ভাইয়ের মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. মনিরুজ্জামান টুকু। তার ছোট ভাই ওয়াহিদুজ্জামান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এবার আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কড়া সমালোচনা করে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে গেলেন টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা মো. মনিরুজ্জামান টুকু।

রোববার (১১ আগস্ট) অবসর চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে আবেদন করেছেন তিনি।

আবেদনপত্রে মনিরুজ্জামান টুকু লেখেন, মহান আল্লাহ তার কিতাবের সর্বশেষ পরিপূর্ণ সংস্করণ আল কোরআনে জ্ঞান ও ন্যায়-অন্যায় প্রজ্ঞা দান করায় আমি বুঝতে পারছি যে, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে আর চাকরি করা আমার জন্য সমীচীন নয়। এ কারণে ১১ আগস্ট আমি পুলিশে আমার পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করলাম।

তিনি আরও লেখেন, বিগত ১০ বছরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের অবৈধ আদেশ পালন ও পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বর্বর আদেশে শিশু-কিশোরসহ বহু মানুষকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা হত্যা করেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় মানুষের ঘৃণার পাত্র হিসেবে আমি পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করতে ইচ্ছুক নই। তাই আমি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করলাম।

পদত্যাগপত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুলিশকে দেওয়া মন্ত্রীদের আদেশকে অবৈধ বলেন তিনি। এছাড়াও ছাত্র-জনতার সঙ্গে তৎকালীন সরকারের আচরণকে নিষ্ঠুরতম উল্লেখ করেন মনিরুজ্জামান টুকু ।

গত মে মাসে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ছোট ভাইয়ের দলীয় মনোননয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি সঙ্গে ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশের পোশাক পরে আওয়ামী লীগ নেতা ভাইয়ের পক্ষে মনোনয়ন ফরম তুলে বিপাকে পড়েছিলেন মো. মনিরুজ্জামান। ওই সময় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলো পুলিশ সদর দফতর।

তার বাবা প্রয়াত শিকদার মোশারফ হোসেন সোনা শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।


আমার বার্তা/এমই