কক্সবাজারে সড়ক সংস্কার কাজের ঠিকাদার উধাও, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:১৬ | অনলাইন সংস্করণ

  রাশেদুল আলম,কক্সবাজার :

সংস্কারের অভাবে সড়কের বেহাল দশা

কক্সবাজার সদর উপজেলা খুরুশকুল ইউনিয়ন ডেইল পাড়া সড়ক সংস্কারের নামে  কাজ শুরু কারার এক মাস হতে না হতে ঠিকাদার উধাও একটু বৃষ্টি হলে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে সড়কটি এক মাস কাজ করে ৩ মাস ফেলে রেখেছে।

খুরুশকুল ইউনিয়ন ভূমি অফিস ডেইল পাড়া এলাকায় হওয়াতে ইউনিয়ন বাসীর চলাচলও একটু বেশি এই সড়ক দিয়ে। 

বর্ষকালে পুরো সড়ক জুড়ে মিনি পুকুরে পরিণত হয়েছে। ফলে ২নং ওয়ার্ডের ডেইল পাড়া এলাকার ৫/৬ হাজার মানুষকে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়ক সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের অর্ধেক খোয়া বিছিয়ে রেখেছে। ডেইল পাড়া বাজারে সড়ক খনন করে ফেলে রেখেছে  প্রতিনিয়ত এ দুরবস্থা বিরাজ করলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নানা অজুহাতে কাজ ফেলে রেখেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্যদিকে প্রকল্পের তদারকি কর্তৃপক্ষেরও রয়েছে চরম উদাসীনতা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার মানুষ জনকে বাধ্য হয়ে খনন করা মাটির ওপর দিয়ে চলাচল করতে  হচ্ছে। সাইকেল, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, সিএনজি নিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় শিক্ষার্থীসহ এলাকার হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। 
জানা যায়, দীর্ঘসময় ধরে পাকা সড়ক সংস্কার করা হয়নি। যার কারণে সড়কটির এ বেহাল দশা। চলতি বছরে সংস্কারের উদ্দেশ্যে সড়ক টি এলজিইডি প্রকৌশলী থেকে  ৯ কোটি ৩৪ লক্ষ ৯৫ হাজার টেন্ডার হয়, পুরাতন মালের দাম বাদ যাবে ৫৬ লক্ষ টাকা সড়কের ধরণ  ৬''খোয়া,সিটিজি-৩''১২ ফিট চওড়া, লম্বা - ৬.৬ কিলোমিটার। 

জুন মাসে কাজ শুরু করে সড়ক খনন করা হয়। কিছুদিন পরই সড়কটির সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কবে নাগাদ রাস্তার কাজ শুরু হবে, এ বিষয়ে কিছু জানা নেই এলাকাবাসীর।

কথা হয়  কয়েক জন সিএনজি চালাক ও টম টম চালক এর সাথে তারা জানান, এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে খুবই সমস্যা হচ্ছে আমাদের। আয় রোজগার করতে হবে, তাই প্রতিদিন  সিএনজি, টমটম নিয়ে বের হতে হয়। সড়কের কারণে সিএনজি টমটমের অনেক সমস্যা হচ্ছে। এই অবস্থায় গাড়ি চলায় সংসার চলাতে খুবই কস্ট হচ্ছে সারা দিন গাড়ি চলাই যে টাকা পাই সেই টাকা গাড়ির কাজে খরচ করে পেলতে হয় যত দ্রুত সম্ভব সড়ক ঠিক করে দেওয়ার জোর দাবী জানায়।

এলাকাবাসী জানান, অনেক বছর সড়ক কোনো কাজ হয়না। এবার যখন কাজ শুরু হলো তখন আমরা এলাকাবাসী অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ কাজ বন্ধ হওয়ায় আমাদের চলাফেরা করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে কোন রোগী ও হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক কস্ট হয়। 

এক শিক্ষার্থী জানান, সড়কের কাজ শুরু হয়ে থেমে গেলো। এ কেমন অবিচার? কাজ যদি চলমান থাকতো তাহলে আমরা এ দুর্ভোগ মেনে নিতাম। কিন্তু কাজ চলবেনা, আবার দুর্ভোগ পোহাতে হবে। এটা মেনে নেয়া যায় না। অনতিবিলম্বে আমাদের এই সড়ক সংস্কার করা হোক এ দাবী রাখছি।

খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদ এর সদস্য ২নং ওয়ার্ডের এম ইউপি জনাব এহসান উল্লাহ বলেন আমার ওয়ার্ডের সড়ক সংস্কার করার জন্য খনন করে ফেলে চলে যাই ঠিকাদর এতে আমার ২ নং ওয়ার্ডের জনগণের সমস্যা হচ্ছে একটু বৃষ্টি হলে কোন ধরনের যানবাহন বা মানুষ ও চলাচল করতে পারেনা। 


এই বিষয় কক্সবাজার সদর উপজেলা এলজি ইডি  প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে প্রতিবেদক কে,  তিনি বলেন প্রধান ঠিকাদার একরাম সিকদার  কি কারনে কাজ বন্ধ রাখছে আমি কথা বলে দেখব প্রশ্ন করা হয় কাজ শুরু করছে ভারুয়াখালী চেয়ারম্যান কামলা ও খুরুশকুল এর চেয়ারম্যান শাহাজাহান ছিদ্দিকি এই প্রশ্নে তিনি বলেন এরা হয়তো সাব ঠিকাদার হিসাবে নিছে আমি প্রধান ঠিকাদার সাথে কথা বলে দেখি যদি কাজ না করে টেন্ডার বাতিল করব তাকে জরিমানা করব অন্য ঠিকাদারকে দিয়ে দেব, আপনারা ও একটু কথা বলে দেখেন ঠিকাদারের সাথে। 

প্রধান ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে ১৫ মিনিট পরে কল দেন বলে ফোন কেটে দেন।