বিজিএমইএ নির্বাচনে ফোরামের প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান

প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৪০ | অনলাইন সংস্করণ

  আলী আবির,ঢাকা

প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান

তৈরি পোশাক উৎপাদন রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে ফোরাম প্যানেলের লিডার বা দলনেতা মনোনীত হয়েছেন রাইজিং ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান বাবু।  সেবা, সততা, সাহস ও সমৃদ্ধি- এই শ্লোগানে ও নীতিতে চলা ফোরাম সংগঠনটির সহসভাপতি ছিলেন।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে নতুন প্যানেল লিডারকে পরিচয় করিয়ে দেন নির্বাচনকেন্দ্রিক জোটটির শীর্ষ নেতারা।

বিজিএমই এর নির্বাচনের পদ্ধতি অনুসারে সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত পরিচালকেরা প্যানেলের লিডারকে সভাপতি পদে
আলাদা করে নির্বাচিত করে থাকেন। সাধারণ ফোরাম এবং সম্মিলিত পরিষদ এ দুটি প্যানেল বিজিএমইএ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে।
সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার এখনও মনোনীত হয়নি।

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা, আনোয়ার-উল-আলম চৌধরী পারভেজ, ড. রুবানা হক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরও ছিলেন ফোরামের সভাপতি আব্দুল সালাম ও রশীদ আহমেদ হোসাইনী।

আলোচনায় ফোরামের নেতারা বলেন, পোশাক শিল্প এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শিল্প নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে।বৈশ্বিক ও স্থানীয় এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দরকার সাহসী নেতৃত্ব। যার গতিশীল নেতৃত্বে এ খাত এগিয়েযাবে।কেবল কার্ডধারী নেতা দিয়ে সংকট উত্তরণ করা যাবে না। দরকার এ খাতের প্রয়োজন বোঝার।মাহমুদ হাসান খান পোশাক শিল্পের উন্নয়নে যোগ্য নেতৃত্ব দিতে পারবেন বলে মনে করেন ফোরামের উদ্যোক্তারা।


এসময় প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান সাংবাদিকদের জানান, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চান। একই সঙ্গে যারা উদ্যোক্তা ও সংগঠনটির সদস্য তারাই যাতে ভোটার থাকে সেটি নিশ্চিত করার তাগিদ দেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে প্রশাসককে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।শ্রমিকরা যেন রাস্তায় না নামে নির্বাচিত হলে সেটি গুরুত্ব দেবেন। একই সঙ্গে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়ন অগ্রাধিকার পাবে।

একাধিক অভিযোগে গত ২০ অক্টোবর বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার ১২০
দিনের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন প্রশাসক।

মূলত বিদায়ী সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা এর নেতৃত্বে ছিলেন। গত মার্চের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে সম্মিলিত পরিষদ থেকে সভাপতি হন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।