এই সরকারকে রাজাকাররা ক্ষমতায় বসিয়েছে: আলী মর্তুজা

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:০৬ | অনলাইন সংস্করণ

  মুকবুল হোসেন:

বর্তমান সরকারকে যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকাররা ক্ষমতায় বসিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কেওয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আলী মর্তুজা।

গত  ৬ থেকে ৭ দিন আগে মুন্সিগঞ্জ শহর জামে মসজিদ প্রাঙ্গন এলাকায় কয়েকজন শিক্ষকের সামনে আলাপচারিতার একপর্যায়ে  এমন মন্তব্য করেন তিনি। উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী দের মধ্যে কয়েক দিন চাপা থাকলেও   বিষয়টি নিয়ে সর্বমহলে আলোচনা এখন তুঙ্গে উঠেছে। সচেতন মহলের ধারণা এক সময়ের   জামায়াত, বিএনপি   কর্মকান্ডের তীব্র সমালোচনাকারী আলী মুর্তজা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  অপর এক প্রাইমারি স্কুলের একজন শিক্ষক জানান , প্রায় ১০/১২ দিন আগে আমরা কয়েকজন শিক্ষক মিলে একসাথে কথা বলেছিলাম। সেখানে সদর উপজেলার কেওয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আলী মর্তুজাও ছিলেন।

হঠাৎই তিনি একজন শিক্ষকের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই তর্কের সুত্র ধরে তিনি বর্তমান সনকারকে অবৈধ ও রাজাকাররা এই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে বলে চিৎকার চেচামেচি করেন। সমন্বয়কদের নিয়ে নানা সমালোচনা করা হয়। তার চিৎকারে অন্যান্য শিক্ষকরা তাকে থামানোর চেস্টা করেও কোন লাভ হয়নি। এক পর্যায়ে মর্তুজা এক শিক্ষকের উপর তিনি চড়াও হন। পরে সেই শিক্ষকের সাথে চরমভাবে বাকবিতন্ডা হয় তার।

তবে এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথেও তর্কে জড়ায় মর্তুজা। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেন। মর্তুজা বলেন, আমার সাথে কারো বিরোধ নেই। তাছাড়া সেদিন যা হয়েছে তা মীমাংশা করা হয়েছে।

একজন শিক্ষক মানুষ গড়ার কারীগর। শিক্ষক হয়ে আরেকজন শিক্ষকের সাথে অসদাচরণ উগ্র স্বভারের নয়কি ? তাছাড়া বর্তমান সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে আলী মর্তুজা বাজে মন্তব্য করেন। এদিকে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হয়ে কিভাবে সরকারের প্রতি এমন বিষ্ফোরক মন্তব্য করতে পারেন সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় , আলী মর্তুজা আওয়ামী সরকারের আমলে ২০০৯ সালে চাকরিতে প্রবেশ করেন। তিনি আওয়ামী সরকারের একজন কট্রর পন্থী।

বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন মিঞা জানান, একজন শিক্ষকের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরন মোটেও ঠিক নয়। বিষয়টির সত্যতা জেনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান , বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আমার বার্তা/এমই