চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আলোচনা সভা

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১২ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম ও যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (জেএসইএস) যৌথ উদ্যোগে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি এবং এর সমাধানের জন্য করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেএসইএস এর নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমীন পারভীন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের নির্বাহী সদস্য এবং নারী উন্নয়ন শক্তির নির্বাহী পরিচালক ড. আফরোজা পারভীন। তিনি তার বক্তৃতায় ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রমের শারীরিক এবং মানসিক ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং এর থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

এছাড়া, যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (জেএসইএস) এর ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ও পরিচালক কবি ও শিশুসাহিত্যিক সাঈদুল আরেফীন ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রমের কিছু উদাহরণ তুলে ধরেন এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন।

এখানে উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশে একটি বড় একটি অংশ শিশুরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার। বর্তমানে, দেশে প্রায় ৩.২ মিলিয়ন শিশু শিশু শ্রমের শিকার। যদিও বিয়ের জন্য আইনগত বয়স ১৮ বছর নির্ধারিত, তবুও শিশুবিবাহ ব্যাপকভাবে প্রচলিত রয়েছে। বর্তমানে, প্রায় ৫১% মেয়েরা ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বিবাহিত হয়ে থাকে। অনেক শিশুও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়, যেখানে দারিদ্র্য এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতাগুলি তাদের স্কুলে যাওয়ার পথ রোধ করে।

বাংলাদেশের শিশুদের উপর ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমের প্রভাব এবং এর প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করেন ইয়ং উইমেন ফর ডেভেলপমেন্ট রাইটস অ্যান্ড ক্লাইমেট এর প্রোগ্রাম অফিসার সেলিনা খাতুন। তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি ছাড়াও তাদের ভবিষ্যতের জন্য গভীর ক্ষতি সৃষ্টি করে।

সভার সঞ্চালনা করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার মুনজিলুর রহমান। তিনি শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও শিক্ষানবিশ পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম রোধের জন্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

এই আলোচনা সভাটি সমাজে শিশু অধিকার এবং ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমের ক্ষতি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।


আমার বার্তা/এমই