ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ

প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ

  সাজেদুল ইসলাম(মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি)ভূঞাপুর :

ঘাস বিক্রির হাট

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রাস্তার পাশে  ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে অনেক পরিবার।

উপজেলার নিকরাইল,গোবিন্দাসী ইউনিয়ন গুলোর স্থানীয় বাজার গুলোতে মাছ, মাংস  শাকসবজীর পাশাপাশি দেখা মিলছে গৃহপালিত পশুর খাবার  বিভিন্ন ধরনের কাঁচা  ঘাস বিক্রির দৃশ্য ।

প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাজার গুলোতে দেখা মিলে এই সব ঘাসের  ।প্রতিদিন কৃষকের যমুনা নদীর বিভিন্ন চরাঞ্চল  থেকে ঘাস গুলোকে সংগ্রহ করে নিয়ে বাজারে আসে এরপর তারা ঘাস গুলোকে আঁটি  বদ্ধ অবস্থায়  সাজিয়ে রাখে।প্রতিটি আঁটি কৃষকেরা বাজারে বিক্রি করে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।কৃষকরা পাইকারি এবং খুচরা দুইভাবে এই ঘাস গুলো বিক্রি করে থাকে।


ঘাস বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে যেটি জানা  যায়, বাজারে ঘাস বিক্রি করতে আসা ৮০ শাতাংশ লোকই হচ্ছে কৃষক। যারা মূলত নিজেদের গৃহপালিত পশু খাদ্য চাহিদা মেটাতে যমুনা নদীর বিভিন্ন চড় অঞ্চল থেকে এই কাঁচা ঘাস গুলোকে সংগ্রহ করে এবং অবশিস্ট  ঘাস তারা বাজারে বিক্রি করে থাকে। কিন্তু যখন দেখলাম এই কাঁচা ঘাস বাজারে বিক্রি করা যায় এবং বাজারে এর চাহিদা রয়েছে তখন থেকে আমার নিয়মিত এই ঘাস বিক্রি শুরু করি, তারা আরো বলেন এই ঘাস গুলো আমরা ক্রয় করে  এনে বিক্রি করি না,এবং এই ঘাস গুলো আমরা চাষ ও করি না।  তাই আনেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নিচ্ছে এই পেশা। এতে করে তারা দিন দিন আর্থিক ভাবে সাবলম্বি হচ্ছে।প্রথমে কয়েক জন কৃষক ঘাস বিক্রি করলেও এখন আনেকে যুক্ত হচ্ছে এই পেশায়।

ক্রেতাদের সাথে কথা বলে যেটি জানা যায়, যে প্রথম দিকে এই অঞ্চলে গরুর খামারের সংখ্যা আনেক কম ছিলো, কিন্তু এখন গরুর খামারে সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার এখন এই কাঁচা ঘাসের চাহিদা আনেক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে তাই তারা নিজেদের গরুর খামারে চাহিদা মেটাতে এই বাজারে আসে ঘাস ক্র‍য় করতে , তারা আরো বলেন যে এই বাজার গুলোতে  পর্যাপ্ত পরিমানে কাঁচা ঘাসের আমদানি থাকে। এছাড়া  গরুর খামারিরা আরো বলছে এই কাঁচা ঘাস গরুকে খাওয়ানোর ফলে গরুর দুধ এর পরিমাণ আনেক গুন বৃদ্ধি পায়।এছাড়া গরুর স্বাস্থ্য ও আনেক ভালো থাকে তাই দিন দিন এই কাঁচা ঘাস এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ বলেন সুকুমার চন্দ্র  বলেন এই অঞ্চলে যমুনার বুকে যে কাঁচা ঘাস গুলো পাওয়া যায় সেগুলো প্রাকৃতিক ভাবে জন্মায় এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণিকে খাওয়ানোর হলে এদের  স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, দুধের পরিমান বৃদ্ধি পাবে। তবে একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, এই সকল প্রাণী গুলোকে প্রতি তিন মাস অন্তর যেনো কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়।  কারণ এই  প্রাকৃতিকভাবে  ভাবে বৃদ্ধি পায়, এতে করে পরজীবী সংক্রমণ থাকতে পারে। তাই গৃহপালিত  প্রাণীকে  অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী  কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।