সুন্দরবনে নিরবে চলছে হরিণ শিকার-চোরা শীকারিরা ধরা ছোয়ার বাইরে
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:১৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রউফ(মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি)কয়রা :
বিশ্বের অন্যতম সৌন্দর্য মন্ডলিত স্থান সুন্দরবন এটি বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চল বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার পাশ দিয়ে গোড়ে উঠচ্ছে। এটি প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার ভারত ও বাংলাদেশ জুড়ে অবস্থিত বাংলাদেশ অংশে অবস্থিত ৬,৫১৭ বর্গকিলোমিটার। এই সুন্দরবনে কয়েক প্রজাতির জীব- জন্তু আছে বাঘ,হরিণ,বানোর, সাপ,শুয়োর,।
তার মধ্যে অন্য তম হরিণ চিত্রা হরিণ গুলো দেখতে অনেক সুন্দর সুন্দর হয় ও মায়াবী। বর্তমানে হরিণ শিকার অনেক বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে সুন্দরবন উপকূল অঞ্চল খুলনার কয়রা উপজেলা ঘুরে। সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট বা বন বিভাগ তৈরী করে সরকার, অভিযোগ উঠছে বন বিভাগের কিছু অসৎ কর্মকর্তা দের যোগ সাজেশে প্রতি নিয়ত হরিণ শিকার বিষ দিয়ে মাছ নিধন সহ অন্য, অন্য অপকর্ম সংগঠিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায় উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি জোড়শিং বাজার এলাকা ও বিনা পানি এলাকার সাধারণ মানুষ বলছে আমাদের গ্রামে কোস্ট গার্ডের ক্যাম শাকবাড়িয়া নদীর ওপারে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ অধীনস্থ বজবজা টহল ফাঁড়ি, খাসি টানা টহল ফাঁড়ি থাকলেও প্রায় নিয়মিত চোরা শিকারীরা রাতের আধারে সুন্দরবনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার করছে। আমাদের দাবি দূরত এসব চোরা হরিণ শিকারী দের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্তা করতে হবে। উত্তর বেদকাশির হরিয়ার পুর, শাকবাড়িয়া পাথর খালি গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক জন জেলে বলেন কাটকাটা পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকা দিয়ে প্রায় হরিণ শিকার করে এনে মাংস পাশের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার বিভিন্ন এলাকায় পাচার করছে। এসব পাচার কারীদের ধরতে পারলে হরিণ শিকারের মূল হোতা দের ধরা যাবে। কয়রা সদরের ৪,৫,৬ নং কয়রা গ্রামের কয়েক জন সাধারণ জেলে বলেন সপ্তাহ দুই দিন, তিনি দিন চোরা হরিণ শিকারীরা কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন অধিনাস্ত এলাকায় দিনে ও রাতে প্রবেশ করে হরিণ শিকারের ফাঁদ পেতে রেখে আসে এক দুই দিন পরে ফাঁদে বেদে থাকা জীবিত-মরা হরিণ বানিয়ে এলাকায় ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছে। কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন শাকবাড়িয়া নদীর সথ্যিপীর ভারানির চরে আগে মাঝে মধ্যে বিকেলের সময় হরিণ দেখা যেতো এখন সেটা দেখে যায়না।
খবর নিয়ে আরও জানা গেছে কয়রা উপজেলা ব্যাপি একটি দালাল চক্র আছে তাদের সহযোগিতায় বন বিভাগ পুলিশ প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তা দের কারণে সব সময় মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এই দালাল চক্রটা উৎখাত করতে পারলে সুন্দরবনে অনেক অপকর্ম কমে যাবে।
কয়রার বিভিন্ন সমাজিক সংগঠনের বেক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা বলছে দেশীয় গরু,খাসি, ভেড়া র মংসের দাম বেশি হওয়ায় কম দাম ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় হরিণের মাংস পাওয়ায় সাধারণ ঝুঁকছে বলে অভিমত। আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা কঠোর আইন আনুক ব্যবস্তা গ্রহণ করতে পারলে কেবলই কমে যাবে সুন্দরবনের নানান অপকর্ম।
গতবছরের শেষের দিকে বন বিভাগ ও যৌথ বাহিনীর ঝটিকা অভিযানে সুন্দরবন ও কয়রার বিভিন্ন এলাকা থেকে হরিণের মাংস পাচারকারী সদস্যর মোটরসাইকেল জব্দ করে। কয়রা থানা ইনচার্জ জী এম এমদাদুল হক বলেন চোরা শিকারী দের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। গত সপ্তাহে কয়রা থানার আয়োজনে সুধি সমাবেশে খুলনা পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বেলেছিলেন হরিণ শিকারীদের ধরতে উপকূল অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের সহযোগিতায় সুন্দরবনের হরিণ শিকার বিষ দিয়ে মাছ শিকার যাঁরা করে তাদের কে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ সহকারী বন কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন হরিণ শিকারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে টহল ফাঁড়ি গুলো নিয়মিত টহল দিচ্ছে আগের তুলনায় হরিণ শিকার অনেক কমে গেছে। হরিণ শিকারীদের সাথে যদি কোনো (সি এম সি) র সদস্য জড়িত থাকে উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে অব্যহতি দেওয়া হবে।