কয়রায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট

প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৫, ২১:২৪ | অনলাইন সংস্করণ

  কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ

ছবি : প্রতিনিধি

খুলনার উপকূল কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়  বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট চারদিকে লবণ পানি বেষ্টনী এ এলাকা গুলোতে বিশুদ্ধ খাবার পানির হাহাকার তিব্র হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ নাগাদ উপজেলার মহেশ্বরী পুর ইউনিয়নের তেঁতুল তলার চর, হায়াত খালি, চারের কোনা, মহারাজ পুর ইউনিয়নের উত্তর মঠবাড়ি, দক্ষিণ মঠবাড়ি, কয়রা সদরের গোবরা- ঘাঁটা খালি,৪নং কয়রা,৫নং কয়রা ৬ নং কয়রা উওর বেদকাশির কাটমারচর,পাথর খালি,শাকবাড়িয়া, দক্ষিণ বেদকাশির ছোটো আংটি হারা, জোড় শিং, গোল খালি।

জোড় শিং গ্রামের মোঃ মোস্তফা বলেন ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বেড়িবাঁধ ভেঙে আমাদের এলাকায় লবণ পানি প্রবেশ করে প্রায় ৩ বছর ধরে পানি বন্দী হয়ে থাকি। তারপর লবণ পানি যখন নিষ্কাসন হয়ে যায় তারপর থেকে এলাকার যতগুলো গভীর নলকূপ(টিউব অয়েল) গুলোতে লবণ পানি উঠছে।পুকুরের পানিও দূষিত পান করা যাচ্ছে না।  ঐপানি খেয়ে বৃদ্ধ, শিশু সহ অসুস্থ  হচ্ছে অনেকেই।

৬ নং কয়রা গ্রামের মোল্যা শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন আমাদের এলাকায় কোনো টিউব অয়েল গুলোতে মিষ্টি পানি উঠেনা। অনেক সময় মিষ্টি পানির জন্য গভীর নলকূপ পুতে মিষ্টি পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। এই এলাকায় একটি খাবার পানির পুকুর আছে, পুকুরের চারিপাশে কোনো ঘেরা,বেড়া নেই, একটি ফিল্টার আছে পুকুরের পানি দূষিত হওয়ায় ঐপানি আর কেও ব্যবহার করেনা। এখানে বিশুদ্ধ সুপিও পানি পাওয়া যায়না। পাশের গ্রাম ৫ নং কয়রায় একটি পুকুর আছে ঐ পুকুর থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫ টি গ্রামের মানুষ এখন থেকে পানি নিয়ে ব্যবহার করে থাকে।

 তাবে পুকুর টি সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকলেও পুকুর টি সংরক্ষণ করা হয়নি দুটি ফিল্টার আছে তাও অকেজো হয়ে পড়ে আছে। লজিক প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি পানির প্ল্যান আছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্ল্যানে পানি আছে। তবে সাধারণ মানুষের জন্য ব্যবহারের কথা  থাকলেও সেটা পাচ্ছেনা সাধারণ মানুষ এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় সুত্রে। আকিজ ট্রাস্টের কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কিছু গন জলধারা আছে। তবে সেগুলো তে সংকলন হচ্ছেনা। বিগত সময় স্থানীয় সরকার ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য পানির টেংকি দিলেও সেগুলো যাদের কে দেওয়ার কথা তাঁরা পায়নি। তৎকালীন সময় আওয়ামী লীগের এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বার ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাব শালী নেতাদের সহযোগিতায় ২হাজার,৪ হাজার, ৫ হাজার অর্থের বিনিময়ে টেংকি দেওয়া হয়। 

এবিষয় কয়রা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল এস্তেয়াক বলেন বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য আমরা পানির টেংকি বিতরন করছি। অর্থের বিনিময়ে পানির  টেংকি দেওয়ার বিষয় টি আমি জানিনা তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দের কাছে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।