ভয়ের কোনো কারণ নেই, আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১৬:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ

  দিনাজপুর প্রতিনিধি:

বিরল উপজেলায় কৃষকের ধান কাটলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘ভীতির কোনও কারণ নাই, আমাদের সীমান্তে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা রয়েছে। এখানে কোনও সমস্যা নাই। কৃষকরা ভালোভাবে ধান কাটতে পারবে।’

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মোকলেছপুর ইউনিয়নের ঢেলপীর ব্লকে বোরো ব্রি ধান-৮৮ কর্তন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘৪০ শতাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। যখন আমাদের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ ছিল সেই সময়ে কৃষিজমির সংখ্যা বেশি ছিল। কিন্তু এখন লোকসংখ্যা ১৮ কোটি, কৃষিজমি কমে গেছে। উন্নত জাত এবং কৃষক ও বিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে উৎপাদন ভালো।’

বরেন্দ্রকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘কৃষকরা যেন ন্যায্যমূল পায়, আর কৃষকদের উৎপাদন খরচ যেন কমানো যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আর ওপরে যারা চাকরি করে, দুর্নীতি কমাতে হবে।’

কৃষি জমির বিষয়ে বলেন, ‘নতুনভাবে আইন করা হবে। ভূমি ব্যবহার নীতিমালা, কৃষি জমি সুরক্ষা আইন নতুনভাবে করার চিন্তা-ভাবনা আছে, কিছু দিনের মধ্যেই করা হবে। ভাটা যেন না চলে সেজন্য আমরা নতুনভাবে চিন্তা করতেছি।’

পরে কৃষকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘কৃষকদের উঠান বৈঠকের জন্য প্রচুর টাকা দেওয়া হয়। উঠান বৈঠকের পয়সা পকেটে ঢুকাইয়েন না। পকেটে ঢুকাইলে আপনারা থাকতে পারবেন না। উঠান বৈঠকের জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবেন।’ আর লিচু পাকার সময় স্প্রে না করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন উপদেষ্টা।

এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) তরিকুল ইসলাম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহীদুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলীসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সাংবাদিকদের বিশৃঙ্খলা দেখে তিনি বলেন, ‘এখানে কয়েকজন আছেন। আপনারা নিজেরা নিজেরাই শান্তি-শৃঙ্খলা রাখতে পারেন না। তাহলে আমার পক্ষে ১৮ কোটি লোকের শান্তি-শৃঙ্খলা রাখতে কী কষ্ট বোঝেন। আপনারা নিজেরা সব শিক্ষিত লোক এখানে, সমাজের উচ্চ শ্রেণির লোক। আপনাদের শান্তি-শৃঙ্খলা রাখতে কত কষ্ট হয়। এ জন্য আপনারা চেষ্টা করবেন, কোনও কিছু লেখেন যে, আমাদের কাজটা করতে কি পরিমাণ কষ্ট হচ্ছে।’


আমার বার্তা অনলাইন:
আমার বার্তা/এমই