টেকনাফ গহীন পাহাড় থেকে দেশী অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫, ১৩:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
রাশেদুল আলম : মাল্টিমিডিয়া কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফ গহীন জঙ্গলে র্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ই মে) ভোর পাঁচ টা থেকে যৌথ ভাবে গহীন জঙ্গলে মাদক কারবারি ও অপহরণকারীদের অবস্থানরত স্থানে গোপনীয় সূত্রে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের কথা টের পেয়ে পালিয়ে যায় অপহরণ কারী ও মাদক কারবারিরা। পালিয়ে যাওয়ার সময় পেলে যাওয়া তাদের ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও কম্বল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১৫ এর কক্সবাজার এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. কামরুল হাসান বলেন কক্সবাজার একটি অপরাধ প্রবণ জেলা। এখানে মাদক, চোরাচালান ও অপহরণের ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে। সম্প্রতি মাদক ও অপহরণ দুটো অপরাধই আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৩ মাসে কক্সবাজার জেলায় চল্লিশটির মত অপরহণের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ৩০ টির মত ঘটনা শুধু এই দুই উপজেলা উখিয়া ও টেকনাফ সংঘটিত হয়েছে।
এসময় তিনি আরও বলেন,গোয়েন্দা সূত্রে অত্র উপজেলা দু'টিতে অপহরণ কারীরা সাধারণত ভিকটিম দেরকে টেকনাফের রঙ্গীখালী, আলীখালী ও জালিয়া পাড়ার গহীন পাহাড় এবং উখিয়া জালিয়া পালং,শ্যামলাপুর, কুটুমগুহা পাহাড়ে বন্দি রাখে। গহীন এলাকাগুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক দুর্গম হওয়াতে সন্ত্রাসী/ডাকাত দলদের তাদের নিরাপদ আশ্রয় মনে করে। বর্ণিত গহীন এলাকা থেকে সন্ত্রাসী/ অপহরণ কারী ও ডাকাত দলের আস্তানা ধ্বংস এবং মাদকের রুট বন্ধ করার উদ্দেশ্যে আমরা আজকে র্যাব ১৫ ও অন্যান্য বাহিনীর পাঁচ শতাধিক ফোর্স নিয়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করি, যেখানে র্যাবের পাশাপাশি বাংলাদেশের কর্মরত সকল বাহিনীর সদস্য রয়েছেন,যেমন বিজিবি,নৌবাহিনী,এপিবিএন,পুলিশ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং বনবিভাগের সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। সাঁড়াশি অভিযানে আমরা সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত কয়েকটি অস্থায়ী টংঘরের সন্ধান পাই। যেগুলো তল্লাশি করে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত প্রায় ৫০০ জনের যৌথ বাহিনী ২ হাজার ৫০ পিস ইয়াবা, ১০০ গ্রাম গাজা, ২টি এলজি, ১টি ওয়ান শুটার গান, ১১টি গুলি, ১টি অস্ত্র তৈরীর যন্ত্রাংশ, ৪টি রামদা,২টি ছুরি, ১টি চাকু, ৩টি কিরিজ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় আব্দুর রহিম জানান প্রায় সময় রঙ্গিখালী অপহরণের ঘটনা ঘটে, প্রকৃত প্রশাসন এই রকম অভিযান পরিচালনা করলে অপহরণ কারী ও মাদককারবারি সাহস পাবে না।
স্হানীয় আরেক জন বলেন, এরকম অভিযান চালানো হলে আমরা একটু শান্তিতে থাকতে পারবো এখন আমরা সব সময় টেনশনে থাকি কখন অপহরণ কারী এসে নিয়ে যাই। তিনি আরও বলেন,বিশেষ করে টেকনাফ, উখিয়া যারা বিকাশ / নগদ এজেন্ট এর ব্যবসার দোকান নিয়ে বসে আছে তাদেরকে ধরতে হবে কারণ এরা অপহরণের সব টাকা তাদের বিকাশ,এজেন্ট থেকে আদান প্রদান করা হয় সব অপহরণ কারীদের সাথে তাদের সম্পর্ক আছে। তাই এদেরকে দৃত করলে সব অপহরণ কারী তথ্য বের হয়ে আসবে।
আমার বার্তা/এল/এমই