অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ রাফিউল উদ্ধার
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫, ১৭:১১ | অনলাইন সংস্করণ
মনির হোসেন ( মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি)সখিপুর :

নিঁখোজের দুইদিন পর অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ মো রাফিউল আলম উদ্ধার। হাফেজ রাফিউল আলম গত ১২ মে ২০২৫ রোজ সোমবার বিকেলে গাজীপুরের জামিয়া মোহাম্মাদিয়া মাদ্রাসা হতে নিকটস্থ বাজারে যান জুতা কেনার জন্য,জুতা কেনা শেষে সি.এন.জি করে মাদ্রাসায় ফেরার সময় একদল ছিনতাইকারী হাফেজ রাফিউল আলমকে মুখ ঝাপটে ধরে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়,চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়ার পর একটি অন্ধকার ঘরে নিয়ে হাফেজ রাফিউলের চোখ খুলে দেওয়া হয় এবং মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে ওর বাবার ফোন নম্বর চায় কিন্তু ভয়ে রাফিউল সঠিক ফোন নম্বরটা বলতে না পারলে ১৩ মে সারাদিন ফোনে চেষ্টা করার পর যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন।
পরে ছিনতাইকারীরা হাফেজ রাফিউল আলমকে প্রচন্ড পরিমাণ মারধর করেন,একপর্যায়ে গলায় দাঁড়ালো ছুরি ঠেকিয়ে ভয় ভীতি প্রদর্শন করা হয় এবং থুতনির নিচে দাঁড়ালো অস্ত্রের আচর লেগে অনেকটুকু অংশ কেটে যায়।পরবর্তীতে ছিনতাইকারীরা ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে চলে যায় এবং রাফিউল আলম দীর্ঘদিন টাংগাইলের কাছে তারটিয়া মাদ্রাসায় লেখা-পড়ার সুবাদে এলাকায় পরিচিত হওয়ার সুবাদে আশ-পাশ চিনতে পারে এবং ঐখান হতে সি.এন.জি চালকের সহায়তায় সখিপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং সিএনজি চালক রাফিউল আলমের বাবা ব্যবসায়ী শামছুল আলমকে ফোন করেন,পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন রাফিউলকে রিসিভ করার জন্য এগিয়ে গেলে বীরউত্তম সুলতান মাহমুদ ( বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি) পাহাড়কাঞ্চনপুরের ঐখান হতে রিসিভ করেন।হাফেজ রাফিউল আলম বর্তমানে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
রাফিউল আলমের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায় রাফিউল পুরোপুরি সুস্হ্য হওয়ার পরে ওর সাথে কথা বলে আইনের শরণাপন্ন হয়ে মামলা দায়ের করবেন।