ঝিনাইগাতীতে ২৬ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ পাচ্ছেন মাত্র ৩ মেগাওয়াট
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫, ১৮:০২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় লোডশেডিংয়ের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ঘনঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যয় নেমেছে জনজীবনে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি বাসাবাড়ির ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংসও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন গ্রাহকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সময়ে তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশু-বয়স্করা। শুধু গরম নয়, ঝড় বৃষ্টির সময়ও গাছপালার ডালপালা ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্নের হচ্ছে। এমনকি দুর্বল ও জরাজীর্ণ তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কারণে প্রতিদিনিই কোনো না কোনো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এতো কিছুর পরও বিদ্যুৎ বিভাগ মিটার না দেখে ভুতুড়ে বিল দিচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ২৬ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের প্রয়োজন ৯ মেগাওয়াট। কিন্তু বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৩ থেকে ৫ মেগ্রাওয়াট। ফলে বিদ্যুতের লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। এছাড়া জনবল সংকটের কারণে মিটার চেকিংসহ নানা কাজে বিঘ্ন ঘটছে। এমনকি জনবল সংকটের কারণে ঝড় কবলিত এলাকায় পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বেগ পেতে হচ্ছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম জহুরুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ প্রয়োজন ৯ মেগাওয়াট। কিন্তু বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৩ থেকে ৫ মেগাওয়াট। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ার কারণে লোডশেডিংয়ের কবলে পরতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এ ছাড়াও বিদ্যুৎ বিভাগে রয়েছে লোকবলের অভাব। ফলে অনেকাংশেই বিদ্যুৎ গ্রাহকরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সংকট কাটাতে লোকবল বাড়ানোর বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই