টানা বর্ষণে ফের ডুবেছে নোয়াখালী শহর, স্থায়ী জলাবদ্ধতার শঙ্কা
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫, ১১:২৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

টানা বর্ষণে ফের জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নোয়াখালী জেলা শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। গত কয়েকদিন থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে শহরের প্রধান সড়ক, উপসড়ক, আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান ডুবে গেছে হাঁটু পানিতে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার চরম দুর্বলতায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, রোগী ও সাধারণ পথচারীরা।
সরেজমিনে শহরের প্রাণকেন্দ্রে পৌর বাজার, আল ফারুক স্কুল রোড, পাঁচ রাস্তার মোড়সহ বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা যায়।
কোথাও কোথাও রিকশা, অটো চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বহু বাসা-বাড়ি, দোকান ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রতি বছরই একটু বৃষ্টি হলেই শহরের এমন জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অথচ সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ও সক্রিয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে থেকেই স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা বাড়ছে।
আল ফারুক স্কুলে আসা আব্দুল মান্নান তালিব বলেন, শহরের মধ্যে যেন নদীর মতো অবস্থা। চারপাশে থৈ থৈ পানি। বিদ্যালয়ের আশপাশে এত পানি তা না দেখে কল্পনা করা যাবে না। কয়েক দিনের মধ্যে যদি বৃষ্টিপাত না কমে এবং নিষ্কাশন কার্যক্রম না শুরু হয়, তাহলে শহরে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়বে, ছড়িয়ে পড়তে পারে পানিবাহিত রোগ।
শাকিল আহমেদ নামের জেলা শহরের বাসিন্দা বলেন, নোয়াখালী শহরের নিচু এলাকা গুলোর জলাধারগুলো প্রায় হারিয়ে গেছে। অপরিকল্পিত আবাসন ও দোকানপাট গড়ে তোলার ফলে বৃষ্টির পানি আর কোথাও যেতে পারে না। যদি এখনই টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থার উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে শহর স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়বে।
জেলা আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে। আগামী কয়েকদিনও বৃষ্টি হতে পারে।
নোয়াখালী পৌরসভার দায়িত্বে থাকা পৌর প্রশাসক জালাল উদ্দীনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি ফলে তার বক্তব্য যুক্ত করা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, আমি ঢাকায় আছি। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কথা শুনেছি। আল ফারুক স্কুলের আশপাশের পুকুরগুলোতে পানি কানায় কানায় পূর্ণ তাই বৃষ্টির পানি সড়কে এসে গেছে। আমরা জলাবদ্ধতা নিয়ে একাধিকবার বসেছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। জনগণের সহযোগিতাও প্রয়োজন।
আমার বার্তা/জেএইচ