জামালপুরে যমুনার তাণ্ডবে বিলীন ফসলি জমি-বসতবাড়ি

জামালপুরের মাদারগঞ্জে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে যমুনা নদীর ভাঙন। এরই মধ্যে সর্বস্ব হারিয়েছেন অন্তত এক হাজার মানুষ। নদীতে বিলীন হয়েছে কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও বসতবাড়ি। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পানি উন্নয়ন বোর্ডের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নদী ভাঙনে  বিলীন হচ্ছে জনপদ। জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ এলাকার যমুনা নদীর পূর্ব তীরে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন চলছে। ধীরে ধীরে বিলীন হচ্ছে পাকরুল গ্রাম। এরই মধ্যে ভুক্তভোগী হয়েছেন আশপাশের ৪ গ্রামের অন্তত এক হাজার মানুষ। এছাড়াও নদীতে বিলীন হয়েছে কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও বসতবাড়ি। হুমকির মুখে কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, কবরস্থান, তিনটি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও শতাধিক ঘরবাড়ি।
 
দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর। তারা বলেন, নদী ভাঙনের কবলে পড়ে অনেকেই সর্বস্ব হারিয়েছেন। বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিকল্প নেই।
 
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পাকরুল এলাকায় ১২৫ মিটার দীর্ঘ বাঁধের সংস্কার চলছে। তবে স্থায়ী ভাঙন রোধে সম্প্রতি শেষ হওয়া সমীক্ষা অনুযায়ী প্রকল্প দাখিল করার আশ্বাস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার।
 
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, নদী ভাঙন প্রতিরোধে সমীক্ষা করা হয়েছে। এর আলোকে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প দাখিল করা হবে।
 
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, মাদারগঞ্জ উপজেলায় গত এক বছরে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ১ হাজার বাড়িঘর ও ৮০০ বিঘা ফসলি জমি।

আমার বার্তা/এল/এমই