সৈয়দপুরে শীতবস্ত্রের আগাম মজুত করতে শুরু
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

রফতানি বন্ধ থাকা ও আমদানি কমে যাওয়ায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে বেশ কিছু ঝুট কাপড়ের কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে শীতের আগমনী বার্তায় এখানকার গার্মেন্টস মালিক ও কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। লাভের আশায় এরইমধ্যে তারা শীতবস্ত্রের আগাম মজুত করতে শুরু করেছেন।
সরজমিনে দেখা যায়, সৈয়দপুরে দুই শতাধিক ঝুট গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিকরা কাটিং ও সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত। মার্কেটের দোকানগুলোও এরমধ্যেই জ্যাকেট, ট্রাউজার ও শিশুদের পোষাকসহ নানা শীতবস্ত্রের আগাম মজুত করছে।
দেশের বড় বড় গার্মেন্টসের ফেলে দেয়া ঝুট কাপড় কমদামে সংগ্রহ করায় শীতবস্ত্রের তুলনামূলকভাবে উৎপাদন খরচ কম হয়। একসময় এই ঝুট পণ্য বিদেশে রফতানি হতো। কিন্তু বর্তমানে স্থলপথে রফতানি বন্ধ ও আমদানি কমে যাওয়ায় বেশ কিছু কারখানা বন্ধ হয়েছে। এরপরও শীতের আগমনী বার্তা সামনে রেখে কারখানা মালিকরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কারখানা মালিকরা জানান, ‘শীতকাল আসছে; শীতবস্ত্রের কাজ শুরু করেছি। এই সময়ে সারা বাংলাদেশ থেকে আমাদের কাছে কাস্টমার আসে। মালগুলো ভালো মানের, দামও কম। গত বছরের তুলনায় এবার শীত আগাম নাও এলেও বেচাকেনা চলছে। আগে নেপাল ও ভুটানে পাঠানো হতো, এখন তা বন্ধ; তাই লোকাল বাজারে বিক্রি করছি।’
ব্যবসায়ীরা বলেন, অন্যান্য মোকামের তুলনায় সৈয়দপুরের শীতবস্ত্রের দাম কম ও মান ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা এখানে ভিড় করছেন। শীতের বেচাকেনা শুরু হওয়ায় কারিগরদের হাতেও প্রচুর কাজ রয়েছে।
নীলফামারী সৈয়দপুর রফতানীমুখি ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক সমিতির সভাপতি মো. আকতার হোসেন খান বলেন, ‘শীতের পণ্য আগে তৈরি করে মজুত করতে হয়। আমরা জ্যাকেট তৈরি করছি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের পণ্যের চাহিদা আছে। এখান থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হয়।’
উল্লেখ্য, রফতানি বন্ধ ও ঝুট কাপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় সৈয়দপুরে এরমধ্যেই প্রায় দুই শত গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
আমার বার্তা/এল/এমই
