আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাস

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সভায় তার বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মাসুদের সঙ্গে যোগসাজশে ইসলামী ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকা ঋণ উত্তোলন করে বিদেশে পাচার; আবদুল কাদির মোল্লার থার্মেক্স গ্রুপ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার ও ঘুষের বিনিময়ে জিনাত এন্টারপ্রাইজের বিদেশে অর্থ পাচারের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।

দুদকের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা সংস্থার (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস দায়িত্ব গ্রহণের পর স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইন্সের বিমান ক্রয়ে সন্দেহজনক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ঘুষের বিনিময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট প্রেরণ না করে অভিযোগের পরিসমাপ্তি করেন তিনি। এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ ব্যাংক থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাটসহ আর্থিক অনিয়মের রিপোর্টকে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালার আওতায় গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রেরণ না করে সাধারণ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন হিসেবে প্রেরণের অনুমতি দেন। অনিয়ম ও অস্বাভাবিক মূল্যে বৃদ্ধির কারণে শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিমাদ্রি লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়। ওই স্থগিতাদেশ মাসুদ বিশ্বাস আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন।

দুদকের উপপরিচালক জানিয়েছেন, তিনি তানাকা গ্রুপ, এস এ গ্রুপ এবং আনোয়ার গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং, অর্থ পাচারসংক্রান্ত সুনির্দিস্ট তথ্য থাকা সত্ত্বেও উক্ত মামলাগুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট না পাঠিয়ে ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়ে নথিভুক্ত করেন। তিনি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মাসুদের সঙ্গে যোগসাজশে ইসলামী ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকা ঋণ উত্তোলণপূর্বক বিদেশে পাচার করেন। আবদুল কাদির মোল্লার থার্মেক্স গ্রুপ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে বিদেশে অর্থ পাচার করেন। জিনাত এন্টারপ্রাইজের বিদেশে অর্থ পাচারের কেস ধামাচাপা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলেও গোয়েন্দা অনুসন্ধানে জানা যায়।

দুদক বলছে, অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত আয়-বর্হিভূত সম্পদ রয়েছে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে গোপনে সোর্স ইনফরমেশনের বরাতে প্রাথমিকভাবে সঠিকভাবে পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।


আমার বার্তা/এমই