ই-পেপার শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১

একদিনে ব্রয়লার মুরগিতে বেড়েছে ১০ টাকা, ডিমের দামও বাড়তি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৩
আপডেট  : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৭

গতকাল বৃহস্পতিবারও রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ১৮০ টাকা কেজি দরে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে আজ (শুক্রবার) সেটির এখন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। একইসঙ্গে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিমও। অথচ এই দুই পণ্যের দামই নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। যার কোনোটিই বিক্রি হচ্ছে না বেঁধে দেওয়া সেই দামে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আজমপুর কাঁচাবাজারে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাজারের সব দোকানেই একচেটিয়া ব্রয়লার মুরগির দাম চাওয়া হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি। এছাড়া সোনালী মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০-৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগির দাম একদিনের ব্যবধানে ১০ টাকা কীভাবে বাড়লো এই প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিভাবেই দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে কেনা সম্ভব হলে সেটি খুচরা বাজারে প্রয়োগ করা সম্ভব হতো। কিন্তু পাইকারিতেই বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

চাঁন মিয়া নামের এক বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে ১৭০ টাকা কেজি পাইকারি দামে ব্রয়লার মুরগি কিনেছি। যার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে ১৮০ টাকায় ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে। আর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ব্রয়লার পাইকারি বাজারে কিনতে হয়েছে ১৭৭ টাকা। অনেকে ১৮০ টাকা কেজিও কিনেছে। যার কারণে ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে।

ফখরুল ইসলাম নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, কেউ যদি একসঙ্গে অনেক মুরগি নেয় তবে দাম কিছু ছেড়ে দেওয়া সম্ভব। এছাড়া খুচরা একটি বা দুটি মুরগি কিনলে দাম কমানো যাচ্ছে না। এতে করে আমাদেরই লস হয়ে যায়। এই মুরগি পাইকারি মার্কেট থেকে কেনার পর আবার দোকানে নিয়ে আসার জন্য আলাদা পরিবহন খরচ আছে। সব মিলিয়ে ১০ টাকা ন্যূনতম লাভ না করলে আমাদের চলে না।

অপরদিকে ডিমের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাল ডিম (ফার্ম) বিক্রি হচ্ছে হালি (চারটি) ৫৩-৫৫ টাকা। ডজন কিনলে গুণতে হচ্ছে ১২০ টাকা। আর এক কেইস (৩০টি) কিনলে গুণতে হচ্ছে ৪০০-৪২০ টাকা।

খুচরা দোকানের বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহ জুড়েই ডিমের দাম এমন ছিল। বন্যার কারণে বিভিন্ন এলাকার ফার্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে বাজারে ডিমের দাম বাড়তি। মনে হচ্ছে কমতে কিছুটা সময় লাগবে।

এদিকে মুরগি ও ডিমের বাড়তি দামের কারণে ক্রেতারা পড়েছেন বেশ বিপাকে। তারা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিলেও খুচরা বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই। বিক্রেতারা যেমন ইচ্ছা তেমন দাম নিচ্ছেন। এগুলো দেখার কেউ নেই।

আজমপুর বাজারে নূরজাহান পারভীন নামের এক ক্রেতা বলেন, বিক্রেতাদের বাহানার অভাব নেই। প্রতিটি জিনিসের দাম অনেক বেশি। সাড়ে ১৩ টাকার বেশি দিয়ে একটি ডিম কিনতে হচ্ছে। আমরা কোথায় যাবো? সরকারের উচিত এসব বিষয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করা। কেননা সাধারণ মানুষ খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছে।

আব্দুস সালাম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, গত কয়েকদিন আগেও ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজি কিনেছি। আর আজকে এই মুরগি ১৯০ টাকা দাম বলছে। এরমধ্যে এমন কি হয়েছে যে, দশ টাকা দাম বাড়াতে হবে? ডিম আর মুরগির দাম বেঁধে দেওয়ার পর আরও বেশি বেড়েছে। তাহলে লাভ কী হলো?

এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়, ডিম খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি চিঠিতে মুরগি (সোনালি ও ব্রয়লার) ও ডিমের নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্য (উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে) সঠিকভাবে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ডিমের মূল্য উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। কেজিপ্রতি সোনালী মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। আর কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।

আমার বার্তা/এমই

অনলাইনে ১৮ দিনে ৩৪ হাজার আয়কর রিটার্ন দাখিল

রিটার্ন দাখিল ও কর পরিপালন সহজ করতে করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে অনলাইন রিটার্ন বা

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে টেকসই ও কার্যকর পরিকল্পনা দেবে টাস্কফোর্স

ঘাটতি চিহ্নিত করে টেকসই ও কার্যকর পরিকল্পনা দেবে টাস্কফোর্স। এক্ষেত্রে বর্তমান লিকেজগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতে রাজি ১০ ব্যাংক

আর্থিক অনিয়মের কারণে দুর্বল হয়ে পড়া ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে ১০টি ব্যাংক। তাদের এই

তিন মাসে দেশে নতুন কোটিপতি বেড়েছে ৩ হাজার

দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকা রয়েছে, এমন হিসাবের (অ্যাকাউন্ট) সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। বিশেষ করে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে মহানবি (সা.)-কে নিয়ে পুরোহিতের কটূক্তি, হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

সাবেক এমপি মন্নুজান-কামালসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভাষা সৈনিক আবদুল গফুর আর নেই

বাড়ছে নদ-নদীর পানি, চার জেলায় প্লাবনের শঙ্কা

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ছুটির দিনেও খোলা পোশাক কারখানা

ঐতিহ্যবাহী বেত শিল্পের নান্দনিকতার ধারক নওগাঁর ‘লাবনী বেত ঘর

নওগাঁর মান্দায় আড়াইশ বছরের রায় বাড়ি

নওগাঁর বৃক্ষ মেলায় এক গাছের দাম ৪০ হাজার টাকা

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শিগেরু ইশিবা

শেখ হাসিনা একজন সাইকোপ্যাথ: টাইমকে নাহিদ

পাকিস্তানে ৬ দিন ধরে শিয়া-সুন্নি সংঘাত, নিহত বেড়ে ৩৭

স্টেডিয়ামে ভারতীয় সমর্থকদের হামলায় হাসপাতালে বাংলাদেশি দর্শক

আগস্টে বাংলাদেশিদের ৪০০ ভিসা আবেদন রিভিউ করেছে ভারত

বায়তুল মোকাররমে নিরাপত্তা জোরদার

গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: জামায়াত আমির

তাইওয়ান প্রণালীতে এই প্রথম যুদ্ধজাহাজ পাঠালো জাপান

গাজায় যা ঘটছে তার জন্য পুরো বিশ্ব দায়ী : মাহমুদ আব্বাস

মিয়ানমারে অস্ত্র ফেলে বিরোধীদের আলোচনায় বসতে অনুরোধ জান্তার

কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কয়েদির মৃত্যু

চিকিৎসক হওয়া হলো না মাহিবুলের