মেশিন দিয়ে তো আমি ডিম বানাতে পারব না: ড. সালেহউদ্দিন

প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বাজারে ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে স্বীকার করে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ডিম তো চকলেটের মতো কোনও পণ্য না যে সেটি কারখানায় চট করে বানিয়ে ফেলা যাবে। ডিমের মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরবরাহ–সংকট বড় কারণ। আমাদের দৈনিক ডিমের চাহিদা প্রায় সাড়ে চার কোটি পিস। আগে দিনে সাড়ে চার-পাঁচ কোটি পিসের মতো ডিম উৎপাদন হতো। বর্তমানে তিন কোটির বেশি উৎপাদন নেই। এখন ডিম কি মেশিন দিয়ে তৈরি করব নাকি।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাওরান বাজারে নিত্যপণ্যের দরদাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, এটা ঠিক, সিন্ডিকেটের কথা বলে পার পাওয়া যাবে না। তবে বাজারে পণ্যের সরবরাহ যাতে বাড়ে ও দাম কমে আসে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।

ডিমের সরবরাহ–সংকট কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় তা নিয়ে কাজ করছেন জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ডিমের বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ইতোমধ্যে আমরা বসেছি। এ সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আবারও বসা হবে। পাশাপাশি ভারত থেকেও ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা ডিমের বাজার স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, এমনভাবে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে যে বাংলাদেশ যেন আফ্রিকার কোনও দেশের মতো হয়ে গেছে। অনেকে বলার চেষ্টা করছে যে কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না, সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এসব বার্তা স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করে।

ডিম, ব্রয়লার মুরগি, সবজি, আলু, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সোমবার বিকাল ৫টার দিকে কাওরান বাজার পরিদর্শন করেন। এসময় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খানসহ অধিদফতরের অন্যান্য কর্মকর্তারা, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা এ সময় ব্যবসায়ীদের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতির তথ্য জানতে চান। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন, বন্যা, অতিবৃষ্টি ইত্যাদির কারণে ডিমের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি সবজিসহ কিছু পণ্যের উৎপাদন নষ্ট হয়েছে। যার ফলে সাপ্লাই চেইনে কিছুটা ঘাটতির কারণে এ সব পণ্যের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক লাভ করে ব্যবসা করার অনুরোধ জানান।

উপদেষ্টা আরও বলেন, উৎপাদনকারী, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতার মূল্যের ব্যবধান যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে তা টাস্কফোর্স কর্তৃক মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ অতি মুনাফা বা সুযোগ বুঝে দাম বাড়ালে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।


আমার বার্তা/এমই