চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৪.১ শতাংশ
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা/এমই
এবার বাংলাদেশের জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিলো বিশ্বব্যাংক। এর আগে একই ধরনের তথ্য দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে গত জুনে সংস্থাটি জানিয়েছিল, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। সেখানে জিডিপি প্রবৃদ্ধির নতুন পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে গেছে। এমন পরিস্থিতি এবং নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে।
অর্থনীতির গতি দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে দেশের জ্বালানি ঘাটতিসহ সরবরাহ-সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা এবং আমদানিতে বিধিনিষেধের বিষয়গুলোকেও দায়ী করা হয়েছে। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে সেবা খাতের প্রবৃদ্ধিও কমেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ দেশেই মূল্যস্ফীতি কমলেও বাংলাদেশে তা উচ্চ পর্যায়ে স্থির অবস্থায় রয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমাতে মুদ্রানীতি আরও সংকোচন করা হয়েছে। তবে চলতি বছর বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া গত বছর দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়লেও বাংলাদেশ ও মালদ্বীপে তা কমেছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোসহ বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে গেলে তা রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে। একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে সবেচেয়ে বেশি রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ। আর দেশের মোট পণ্য রপ্তানির প্রায় অর্ধেকই হয় ইউরোপে।
গত মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নেয়। গত ২ ডিসেম্বর অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আর্থিক, মুদ্রা ও বিনিময় হার-সংক্রান্ত সমন্বয় কাউন্সিলের কমিটির বৈঠকে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।