ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা দূরীকরণে জোর, যৌথ অংশীদারিত্ব গঠনের আহ্বান

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫, ১৭:২২ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম ২০২৫ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা দূরীকরণ, বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ফ্যান থি থ্যাং।

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম ২০২৫-এ বুধবার (১৪ মে) এ বক্তব্য রাখেন তিনি। ভিয়েতনামের ১৬ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল এতে অংশ নেয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন ডেপুটি মিনিস্টার ফ্যান থি থ্যাং।

বক্তব্যে তিনি জানান, কৃষি, পর্যটন, ঔষধ, মৎস্য, আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উচ্চ ট্যারিফ এবং নন-ট্যারিফ বাধা তা আটকে রেখেছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করার পাশাপাশি পরিবহন, যোগাযোগ ও লজিস্টিকস খাত সহজতর করা গেলে অনাবিষ্কৃত খাতসমূহে উভয় দেশই উল্লেখযোগ্য সুফল পেতে পারে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খানও একই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যে লেনদেন পদ্ধতি আরও সহজ ও স্বচ্ছ করতে হবে। এতে বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য উভয় ক্ষেত্রেই গতি আসবে।

এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে বিপুল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে, যার বড় একটি অংশ আজও অনাবিষ্কৃত।” তিনি অবকাঠামো উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

ঢাকায় নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত গুয়েন মান কোং বলেন, যৌথ ভেঞ্চার, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং কারিগরি সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের শিল্প ও বাণিজ্যে নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে।

ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বাণিজ্য-ভিসা সহজীকরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ এবং অংশীদারিত্ব জোরদার করতে হবে।

ভিয়েতনাম বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ডো ভ্যান থ্রং বলেন, “পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর মহাসচিব মো. আলমগীর, সাবেক পরিচালক আব্দুল হক, নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, ড. ফেরদৌসী রহমান, সহায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ, সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।


আমার বার্তা/এমই