চলতি বছরে কমেছে ই-নাইন ভিসায় বিদেশি কর্মীর সংখ্যা
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫, ১০:৩২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

দক্ষিণ কোরিয়ায় অর্থনৈতিক মন্দায় চলতি বছরে কমেছে ই-নাইন ভিসায় বিদেশি কর্মীর সংখ্যা। তবে সিজনাল বা মৌসুমি ভিসায় বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমবাজারে দিন দিন বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদা কমে যাওয়ার পেছনের কারণ খুঁজছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ই-৯ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় কমছে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা।
শ্রমিকের চাহিদার ওপর নির্ভর করে দক্ষিণ কোরিয়ার ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক গতিপথ। বিশ্ব অর্থনীতির শক্তিশালী দেশগুলোর অন্যতম দক্ষিণ কোরিয়া। তবে হঠাৎ করেই গতি হারাচ্ছে দেশটির অর্থনীতির চাকা। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে প্রভাব পড়েছে বিদেশি শ্রমিক চাহিদার ওপরও।
দেশটিতে অর্থনৈতিক মন্দায় চলতি বছর ই-৯ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় আশঙ্কাজনকহারে কমেছে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা। সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে উৎপাদন শিল্পে। সম্প্রতি এ তথ্য জানায় দেশটির কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয়।
চলতি বছরে ১০ই জুন পর্যন্ত ই-৯ ভিসা নিয়ে কোরিয়ায় প্রবেশকারী বিদেশি কর্মীর সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩৬ হাজার। তবে সিজনাল বা মৌসুমি ভিসায় কৃষি, পশুপালন ও গৃহকর্মী খাতে বেড়েছে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা।
দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমবাজারে অন্যান্য দেশের তুলনায় আশঙ্কাজনকহারে কমেছে বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদা। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব সারোয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদা কমে যাচ্ছে। এর পেছনে কী কারণ এবং সমস্যাগুলো খুঁজে বের করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কেবিজের বাংলাদেশি প্রশিক্ষক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, কোরিয়ার মালিকরা যখন কর্মীদের জন্য আবেদন করেন তখন বাংলাদেশিরা আবেদনের শীর্ষ পর্যায়ে থাকছে না। ছোট ছোট কারণেই এই ঘটনা ঘটছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক মন্দার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।
আমার বার্তা/এল/এমই