চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন সাময়িক বরখাস্ত
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার ও চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে চলা কমপ্লিট শাটডাউনে কাস্টম হাউস বন্ধ রাখায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (০১ জুলাই) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আদেশে বলা হয়, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির স্বার্থে ২১ জুন ও ২৮ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং এর অধীন কাস্টমস ও ভ্যাট এবং আয়করসহ রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য সব দপ্তর খোলা রাখার নির্দেশনা অমান্য করে গত ২৮-২৯ জুন যথাক্রমে রোজ শনিবার ও রোববার কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম বন্ধ রেখে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি করায় তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা-৩৯ অনুযায়ী মো. জাকির হোসেন কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) (গ্রেড-৪), কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগপূর্বক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
এর আগে গত ২৯ জুন রাজস্ব সংস্কারে উপদেষ্টা কমিটি গঠনের পর আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
রাজস্ব ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার ও এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছিল এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। আর গত ২৮ ও ২৯ জুন ‘মার্চ টু এনবিআর’ ও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করে এনবিআর কর্মকর্তারা।
গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআর বিলুপ্ত করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর বিরুদ্ধে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কর্মসূচির ফলে সরকার গত ২৫ মে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে এনবিআর বিলুপ্ত না করে বরং এটিকে সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় আরও শক্তিশালী করা, রাজস্ব নীতি প্রণয়ণের লক্ষ্যে আলাদা একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গঠন করা এবং প্রয়োজনীয় সব সংশোধনের আগপর্যন্ত জারিকৃত অধ্যাদেশটি কার্যকর করা হবে না বলে জানায়। তার প্রেক্ষিতে ঐক্য পরিষদ তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।
এরপর কাজে যোগ দিলেও আন্দোলনকারীরা এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে অটল থাকেন এবং সংস্থার কার্যালয়ে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন। পরে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় অফিসে ফেরেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
আমার বার্তা/এমই