বিকল্প রপ্তানি বাজার হিসেবে সম্ভাবনা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫, ১১:০২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

বিকল্প রফতানি বাজার হিসেবে সম্ভাবনার হাতছানি অস্ট্রেলিয়ায়। ইউরোপ আমেরিকার বিকল্প ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশটিতে বাংলাদেশের রফতানি ১ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই। এর নেতৃত্ব দিচ্ছে তৈরি পোশাক খাত। বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন নতুন পণ্য দিয়ে কয়েকগুণ রফতানি বাড়ানো সম্ভব। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্টের সুযোগও তৈরি হতে পারে।
আয়তনে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তর দেশ অস্ট্রেলিয়া। পৌনে তিন কোটি লোকের দেশটি বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০তম অবস্থানে। ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশটি বাংলাদেশের রফতানি ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। যৌথ বাণিজ্যে টিফা চুক্তির ফলে রফতানিতে সুবিধা পায় বাংলাদেশ। তৈরি পোশাক, হোমটেক্স,মাছ, কাঁকড়া, পাট, চামড়া, হস্তশিল্প রফতানি হয় সে দেশে।
বিপরীতে তুলা, গম, তেলবীজ, ডাল, কপার,জিংক,লোহা আমদানি হয়। গত ৫ বছরে তৈরি পোশাকের নেতৃত্বে রফতানি বাড়ছে। তবুও এখনো বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সভাপতি আব্দুল খান রতন জানান, পাটজাত পণ্যের ভালো বাজার আছে দেশটিতে। পাশাপাশি চামড়াজাত পণ্য, আইটি সেবা, মৌসুমি ফলেরও বেশ চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্য ঘাটতি কাটিয়ে বহুমুখী পণ্য রফতানির সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ।
শুধু রফতানি নয় বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের দশম দেশ অষ্ট্রেলিয়া। এই অঙ্ক আরও বাড়ানো সম্ভব। আব্দুল খান রতন বলেন, অস্ট্রেলিয়া উৎপাদনমুখী শিল্পের দিকে ঝুঁকছে। তাই দেশে বিনিয়োগ আনতে দেশটির ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে হবে।
দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে এবং রফতানি পণ্যের বহুমুখী সম্ভাবনা কাজে লাগাতে অক্টোবর মাসে সিডনিতে হতে যাচ্ছে বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শনী। পাশাপাশি এফবিসিসিআই, বিজিএমইএসহ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং ইপিবি-বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা সেমিনারে অংশ নেবেন।
উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে গেলে শুল্কছাড় পাওয়া যাবে না। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। এটিকে কাজে লাগিয়ে মুক্তি বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে। যার সুযোগ তৈরি হতে পারে সিডনিতে অনুষ্ঠিতব্য এক্সপোতে।
এলডিসি উত্তরণ সামনে রেখে কৌশল ঠিক করার এখনি সময়। তাই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এই আয়োজন সামনে রেখে এলডিসি পরবর্তী আলোচনাও এগিয়ে নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
আমার বার্তা/এল/এমই