আয়কর রিটার্ন অডিটের জন্য নির্বাচন করেছে এনবিআর

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২:১৮ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

চলতি ২০২৩-২৪ করবর্ষে সারা দেশের মোট ১৫ হাজার ৪৯৪টি আয়কর রিটার্ন অডিটের জন্য নির্বাচন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ‘র‍্যান্ডম সিলেকশন’ বা দৈবচয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই রিটার্নগুলো বাছাই করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) এনবিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অডিট নির্বাচনের পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এনবিআর ইতোমধ্যে ‘ঝুঁকি-ভিত্তিক নিরীক্ষা নির্বাচনের মানদণ্ড’ নামে একটি অটোমেটেড ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। তবে অফলাইনে জমা পড়া পেপার রিটার্নগুলোর তথ্য এখনও পুরোপুরি ডেটাবেজে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন চালু করতে কিছুটা সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে অডিট কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বিকল্প পদ্ধতিতে রিটার্ন নির্বাচন করা হয়েছে।

এই বিকল্প পদ্ধতিতে প্রতিটি কর অঞ্চল বা সার্কেলে দাখিল করা আয়কর রিটার্নের মাত্র শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ দৈবচয়নের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়েছে। তবে যেসব করদাতা গত দুই করবর্ষে অডিটের আওতায় এসেছেন, তাদের এবারের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বাদ রাখা হয়েছে। এতে অডিট কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে এনবিআর জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, র‍্যান্ডম সিলেকশন পদ্ধতিতে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা থাকলেও কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায়ের নিশ্চয়তা নেই। সে কারণে যত দ্রুত সম্ভব পেপার রিটার্নের সব তথ্য ডিজিটাল ডেটাবেজে সংযুক্ত করে ‘রিস্ক-ভিত্তিক’ পূর্ণাঙ্গ অটোমেটেড অডিট নির্বাচন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এনবিআর।

এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, ডিজিটাল অডিট নির্বাচন চালু হলে অডিট প্রক্রিয়ায় মানবিক পক্ষপাত দূর হবে এবং যেসব রিটার্নে ঝুঁকি বেশি, সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচন করা যাবে। এতে রাজস্ব আদায়ে কার্যকারিতা অনেক বেড়ে যাবে।

রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং কর সংস্কৃতির বিকাশে এমন উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন কর বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা।


আমার বার্তা/এল/এমই