বেনাপোলে রাজস্ব আয়: বাণিজ্যে ১৪ কোটি ও ভ্রমণে ১৬ লাখ টাকা
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ৩৫৬ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্যের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হয়েছে। এ সময় দুই দেশের মধ্যে ১৮৩৩ জন দেশ-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাতায়াত করেছেন। বাণিজ্য খাতে সরকারের প্রায় ১৪ কোটি এবং ভ্রমণ খাতে প্রায় ১৬ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন বেনাপোল রুটে বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাতায়াতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় মানিচেঞ্জারের তথ্য মতে, বাংলাদেশি ১০০ টাকার বিনিময়ে মিলেছে ৭২.৫০ রুপি এবং ভারতীয় ১০০ টাকায় বাংলাদেশি টাকা পাওয়া গেছে ১৩৬ টাকা। এক ইউএস ডলারের ক্রয় মূল্য ১২৫ টাকা ও বিক্রয় মূল্য ১২৬ টাকা।
বন্দরের তথ্য মতে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়। এদিন ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৪১ ট্রাক পণ্য।
আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল,তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল, শিশুখাদ্য, মেশিনারিজ দ্রুব, অক্সিজেন, বিভিন্ন প্রকারে ফল, চাল, পেঁয়াজ, মাছসহ বিভিন্ন পণ্য।
বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রফতানি হয়েছে ১১৫ ট্রাক। এসব পণ্যের মধ্যে উল্লেখ্য ছিল: বসুন্ধরা টিসু, মেলামাইন, কেমিকেল মাছ ও ওয়ালটন পণ্যসামগ্রী।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের পর দুই দেশের একের পর এক বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞায় আমদানি-রফতানি ও পাসপোর্টধারী যাতায়াত অর্ধের নিচে কমে এসেছে। এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
ইমিগ্রেশন তথ্য জানান, ভোর সাড়ে ৬টা থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে শুরু হয় পাসপোর্টধারী যাতায়াত। সোমবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে মোট যাতায়াত করেছে ১৮৩৪ জন। এদের মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেছেন ১০৭২ জন এবং ভারত থেকে ফিরেছেন ৭৬১ জন। ৫ আগস্টের পর ভিসা জটিলতায় পাসপোর্টধারী যাতায়াত কমে গেছে।’
এ দিকে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, গত ১৩ অক্টোবর রেলপথে ভারত থেকে ১০০টি ট্রাক্টর আমদানি হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত রেলপথে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। এ ছাড়া গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ঢাকা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই