নিবন্ধন পরীক্ষায় পরিবর্তনের চিন্তা : বাদ যেতে পারে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৫, ১১:১২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতা কমাতে নিবন্ধন পরীক্ষার পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। প্রক্রিয়ার তিনটি ধাপের মধ্যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে এগোচ্ছে সংস্থাটি। এতে নিয়োগ কার্যক্রমে সময় বাঁচবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, গত ২৫ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই প্রস্তাব নিয়ে নীতিগত আলোচনা হয়। সভায় এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন পরীক্ষা পদ্ধতি সহজ করার প্রস্তাব উত্থাপন করে।
বর্তমানে বিসিএস পরীক্ষার মতোই নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় তিনটি ধাপে—প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়। তবে এ প্রক্রিয়ায় সময় লেগে যায় দীর্ঘদিন। অনেক প্রার্থী নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ায় নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হন। অন্যদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তৈরি হচ্ছে শিক্ষক সংকট।
এ প্রেক্ষাপটে এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা মনে করছেন, একটি ধাপ বাদ দিলে পুরো প্রক্রিয়াটি দ্রুততার সঙ্গে শেষ করা সম্ভব হবে। তাদের ভাষায়, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অপরিহার্য হলেও প্রিলিমিনারি পরীক্ষাটি তুলনামূলকভাবে সময়ক্ষেপণকারী। তাই এটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেন, ‘আমরা নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে দুই ধাপে নামিয়ে আনার বিষয়ে কাজ করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নীতিগত অনুমোদনও পাওয়া গেছে। এখন জনপ্রশাসন ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর বিষয়টি চূড়ান্তভাবে বোর্ড সভায় অনুমোদন দেওয়া হবে।’
তবে কোন ধাপটি বাদ যাবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি। যদিও প্রাথমিক আলোচনায় প্রিলিমিনারি অংশটি বাদ দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে এ ধরনের পরিবর্তন বাস্তবায়িত হলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া যেমন দ্রুত হবে, তেমনি শিক্ষক সংকটও কিছুটা হলেও কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের লিখিত, মৌখিক ও প্রিলিমিনারি যাচাইয়ের মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে থাকে। নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীদের যোগ্য শিক্ষক হিসেবে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়।
আমার বার্তা/জেএইচ