বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে সামাজিক-আচরণগত পরিবর্তন যুক্ত করার তাগিদ
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন (এসবিসি) অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ (সিফোরডি) ধারণার সঙ্গে এসবিসি যুক্ত করে পাঠ্যক্রম হালনাগাদ করার কথা বলেছে সংস্থাটি।
রোববার (৩১ আগস্ট) ইউজিসি ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এ সুপারিশ করেন।
তিনি বলেন, সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তনে সৃষ্ট সমস্যাগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরা এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় আনা জরুরি। সমাজে ব্যক্তির অবস্থান চিহ্নিত করা, তাদের চাহিদা যাচাই-বাছাই করা এবং কার্যক্রমে কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে এসবিসি ও সিফোরডি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জেসমিন পারভীন।
বিজ্ঞাপন
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর মাছুমা হাবীব। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যেই স্নাতক পর্যায়ে সিফোরডি বিষয়টি পড়ানো হচ্ছে। এবার এ পাঠ্যক্রমের সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত মডেল তৈরি করা হবে।
কর্মশালার বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক সরকার বারবাক কারমাল এবং ইউনিসেফের এসবিসি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. বদরুল হাসান।
কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে ইউনিসেফের সহযোগিতায় ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ (সিফোরডি) বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়। ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সে সময় একটি পাঠ্যক্রম প্রণয়ন কর্মশালা আয়োজন করা হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিফোরডি বিষয়ে বৈশ্বিক পর্যায়ে ধারণাগত পরিবর্তন এসেছে। এখন একে সার্বিকভাবে সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন (এসবিসি) হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দুই দিনের এ কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস এবং খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকেরা।
আমার বার্তা/এমই