এনটিআরসিএ শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষক নিয়োগে বঞ্চিতরা
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

১৭তম ও ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগবঞ্চিতদের দাবি দ্রুত মেনে না নেওয়া হলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে শাটডাউন কর্মসূচি করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ সুপারিশবঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রিলি, রিটেন ও ভাইভার পর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় গত ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর। করোনা ও এনটিআরসিএ-এর দাপ্তরিক কারণে এক বছরের একটি নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছরের বেশি সময় লেগেছে। এতে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী ৭৩৯ জনের বয়স শেষ হয়ে যায়। যদিও এনটিআরসিএ যে সনদ দিয়েছে তার মেয়াদ ৩ বছর থাকা সত্ত্বেও বয়সের কারণে ১৭তম নিবন্ধনধারীরা একবারের জন্যও আবেদনের সুযোগ পায়নি। একইভাবে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদেরও ২০২৩ সালের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে ২০২৫ সালের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত দুই বছরের বেশি সময় লাগে। এতে অনেকের বয়স শেষ হয়ে যায়।
তারা আরও বলেন, এ বিষয়ে এনটিআরসিএ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনার আলোকে আইন মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে মতামত দিয়েছে যে, আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী সনদের মেয়াদ ৩ বছর থাকা সাপেক্ষে সার্বিক বিষয়াদি বিবেচনায় নিয়ে শুধুমাত্র ১৭ ব্যাচের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫-এর আওতায় এনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু আইনগত মতামতের নির্দেশনা থাকলেও এনটিআরসিএ অহেতুক বয়স সংক্রান্ত জটিলতা দেখিয়ে আমাদের ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির ন্যায় ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতেও আবেদনের সুযোগ দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের একটি অত্যন্ত দুঃখজনক পদ্ধতি হচ্ছে, সর্বোচ্চ মেধাবীদের যাচাই-বাছাই করার পরেও একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যোগ্য প্রার্থীকে বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ না করে নতুন নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবারও কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এনটিআরসিএ এ পর্যন্ত ১-১৬তম নিবন্ধনের জন্য প্রকাশিত বিগত বিশেষসহ নয়টি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করেছে লাখেরও বেশি, যেখানে ৩৫ বছর বয়স্কদের আবেদনের সুযোগ দিয়েছে। যা এনটিআরসিএ গত ২২ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো রূপরেখায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে। তবুও আমাদের মৌলিক অধিকার পেতে এত হয়রানি। তাই আগামী ১২ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয় শাটডাউন ঘোষণা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে যেসব দাবি উত্থাপন করা হয় সেগুলো হলো—
১. বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা পরিবর্তনের পূর্বে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একবার হলেও আবেদনের সুযোগ দিতে হবে।
২. দাবি মানা না হলে এনটিআরসিএ-এর সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আমার বার্তা/এমই
