প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রতিবাদ

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেশের ৮০ জন বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক, শিল্পী, নাট্যব্যক্তিত্ব, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ছাত্রনেতা একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সংগঠনের আহ্বায়ক মাহমুদ সেলিমের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। কিন্তু ২ নভেম্বর সেই প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়, যা শিশুর সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর এবং শিক্ষাবিদ ও মনস্তত্ত্ববিদদের গবেষণার পরিপন্থি।

জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলনকারীরা এটিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ জাতি গঠনে বাধা এবং সৃজনশীল প্রজন্ম গঠনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন।

আন্দোলনের আহ্বায়ক মাহমুদ সেলিম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা কেবল পাঠ্যপুস্তক মুখস্থ নয়, এটি শিশুর নৈতিক, সাংস্কৃতিক ও মানসিক বিকাশের মূলভিত্তি। সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিশুকে সৌন্দর্যবোধ, সহনশীলতা, শৃঙ্খলা ও দলগত সহযোগিতার শিক্ষা দেয়। বর্তমান ডিজিটাল যুগে, যেখানে শিশুরা স্ক্রিনের প্রতি আসক্ত, সংগীত ও শরীরচর্চা তাদের সৃজনশীলতা ও মনোযোগ বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।

বিবৃতিতে দেশের প্রধান সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাসংগঠনগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা, নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদ, বাংলাদেশ বাউল ও লোক শিল্পী সংস্থা, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, প্রাচ্যনাট, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, বাতিল প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে পুনর্বহাল এবং প্রতিটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংগীত, চারুকলা ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি এ বিষয়গুলোকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

আমার বার্তা/এল/এমই