চলচ্চিত্রে নায়িকাদের সহায়ক মনোভাব জরুরি : চিত্রনায়িকা তানহা মৌমাছি

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

বাংলা চলচ্চিত্রের লাস্যময়ী নায়িকা তানহা মৌমাছি। অভিনয়, পেশাদারিত্ব এবং শিল্প জীবনের প্রতি গভীর দায়বদ্ধতা তাঁর প্রশংসনীয় বৈশিষ্ট্য। বর্তমানে তাঁর অভিনীত মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘আয়না’ এবং রকিবুল আলম রকিব পরিচালিত ‘ইয়েস ম্যাডাম’–দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে; দুটিতেই তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক আমান রেজা। পাশাপাশি পারিবারিক জীবনে সুখকর সংবাদ শোনা গেছে—বিয়ের আয়োজন চলছে বলে ইতিবাচক খবর প্রকাশিত হয়েছে। আমার বার্তার সঙ্গে আলাপচারিতায় তানহা চলচ্চিত্র, ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত পরিকল্পনা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।

আমার বার্তা : আপনার নতুন দুই ছবির কাজ অনেক আগেই শেষ, এখন কেমন লাগছে মুক্তির অপেক্ষা?

তানহা মৌমাছি : অপেক্ষাটা আনন্দেরও, আবার দুশ্চিন্তারও। আয়না এবং ইয়েস ম্যাডাম দুটিই ভিন্ন ধাঁচের গল্প। দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। কাজের সময় পরিকল্পনা ও দায়িত্বশীলতা বজায় রাখা শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা দিয়েছে। ছবিগুলোতে আমার বিপরীতে রয়েছেন আমান রেজা; আমাদের অভিনয় ও কেমিস্ট্রি দর্শকের জন্য নতুন আনন্দ উপহার দেবে।

আমার বার্তা : চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
তানহা মৌমাছি : একা একজন শিল্পী কোনো ছবিকে সাফল্যের দিকে নিতে পারে না। সহকর্মী, টিমওয়ার্ক—সব মিলেই সিনেমা পূর্ণতা পায়। পাশাপাশি সময়মিলিয়ে কাজ করা, নিজের উপর দায়িত্ববোধ রাখা এবং মানসিক শান্তি বজায় রাখা একজন শিল্পীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রতিটি শুটিং এবং প্রজেক্টের সময় এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিই।

আমার বার্তা : সম্প্রতি এক আলোচনায় বলেছিলেন, “ইনকামের ওপর না, যে আমাকে ভালোবাসবে তাকেই বিয়ে করবো।” এই দৃষ্টিভঙ্গি কি ব্যক্তিগত জীবনেও প্রযোজ্য?
তানহা মৌমাছি : হ্যাঁ, সম্পর্কের ভিত্তি হলো ভালোবাসা ও বোঝাপড়া। উপার্জন নয়, মানসিক সাপোর্ট ও সম্মানটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক জীবনে সুখকর খবরের দিকে নজর রাখা এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোও আমার কাছে অতি জরুরি।

আমার বার্তা : বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বও বেড়ে গেছে। পারিবারিক ও ক্যারিয়ারের ভারসাম্য কীভাবে রাখছেন?
তানহা মৌমাছি : পরিকল্পনা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। পরিবার ও কাজ দুটোকেই সময়মতো গুরুত্ব দিই। নিজের জন্যও সময় রাখা জরুরি—মানসিক শান্তি না থাকলে কাজও ঠিকভাবে হয় না। শুটিংয়ের বাইরে সামান্য সময়ও ছিন্নমূল শিশুদের সঙ্গে কাটাই, তাদের দেখাশোনা ও আনন্দে অংশ নিই। এটি আমার মনকে স্থির রাখে।

আমার বার্তা : ভবিষ্যতে কোন ধরনের চরিত্রে নিজেকে দেখতে চান?
তানহা মৌমাছি : চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে। যেগুলো দর্শককে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করবে, আবার আমাকে নিজের ভেতরের শিল্পীকে আরও উন্মোচন করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি সমাজসেবার কাজ, ভ্রমণ এবং বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ডও ক্যারিয়ারের অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি।

আমার বার্তা : চলচ্চিত্র শিল্পীদের উন্নয়নে নায়িকাদের ভূমিকা কীভাবে দেখছেন?
তানহা মৌমাছি : চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নায়িকাদের আন্তরিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরিচালকরা নায়িকাদের সহায়তা ও পেশাদার মনোভাব দেখতে চায়। আমি মনে করি, শিল্পীর আন্তরিকতা ও সহযোগিতা ছাড়া ভালো সিনেমা তৈরি করা সম্ভব নয়। দর্শকের প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নেওয়াও একজন নায়িকার দায়িত্বের অংশ।

আমার বার্তা : সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে আপনার কর্মকাণ্ডও আলোচনায় এসেছে। এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনার কাছে?
তানহা মৌমাছি : সামাজিক কাজে যুক্ত থাকা এবং মানুষের কল্যাণে কিছু করা আমার ছোটবেলার স্বপ্ন। ছোট পরিসরে শুরু করেও ধীরে ধীরে এর পরিধি বৃদ্ধি করেছি। শৈশব থেকেই সামান্য হলেও স্যোসাল ওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এটি আমার পেশাদার জীবনকে আরও অর্থবহ করে।


আমার বার্তা/এমই