নারী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তোপের মুখে সিপিএম নেতা

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিএম) নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার অভিযোগ তোলেন এক নারী সাংবাদিক। রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

তরুণী সাংবাদিক ফেসবুক লাইভ চলাকালে তার কোলে বসার অভিযোগ করেন তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। নারী সাংবাদিকের এমন অভিযোগের পরই সিপিএম নেতাকে সাসপেন্ডও করেছে তার দল।

তন্ময়ের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ উঠতেই সোচ্চার হয়েছেন অভিনেত্রী ও বরানগরের সংসদ সদস্য সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই অপমানের সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তকে শাস্তির দাবি জানান।

সায়ন্তিকার প্রশ্ন, ‘এবার আপনারা পথে নামবেন তো?’ এই ইস্যুতে সায়ন্তিকা বলেন, ‘আমাদের একটাই প্রশ্ন, যারা আরজি করের নির্যাতিতার জন্য বিচার চেয়েছিলেন... আমরা সকলেই আরজি করের নির্যাতিতার জন্য বিচার চেয়েছিলাম... এখনও চাইছি... তারা এবারও মানববন্ধন করবেন তো? তারা এইবারেও রাত দখল করবেন তো? তারা এইবারেও বিচার চাইবেন তো?’

উল্লেখ্য, বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনে তন্ময় ভট্টাচার্য ছিলেন সায়ন্তিকার প্রতিদ্বন্দ্বী। সেই তন্ময়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠতেই পথে নামছেন সায়ন্তিকা।

সায়ন্তিকা বলেন, আরজি করের নির্যাতিতাকেও তার কর্মক্ষেত্রেই ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে একজন নারী সাংবাদিককে তার কর্মক্ষেত্রে তার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করা হয়েছে। এটাকে নির্দিষ্টভাবেই একটা ‘পোটেনশিয়াল রেপ’-এর প্রথম ধাপ বলা যেতে পারে। আমরা মণিপুরের ঘটনায় সরব ছিলাম। আমরা আরজি করের ঘটনায়ও সরব ছিলাম, আছি। এবারও আমরা প্রত্যেকেই সরব থাকব।

এ প্রসঙ্গে তন্ময় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আমি আসলে মজা করে এমনটি করেছি।’ তিনি জানান, সবার সাথেই এমনটি করে থাকেন তিনি।

এ ঘটনায় সোমবারই তন্ময়কে বরানগর থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগকারীর বয়ান নেওয়া হয়েছে।

তন্ময় বলেন, ‘ভদ্রমহিলার ওজন ৪০ কেজির বেশি নয়, আমার ওজন ৮৩ কেজি। ৮৩ কেজি ওজনের এক পুরুষ যদি ৪০ কেজি ওজনের এক মহিলার কোলে বসে পড়েন তাহলে সেই মহিলা শারীরিকভাবে ফিট থাকে কিনা আমি জানি না। এটা পরিকল্পিত কুৎসা।’

তন্ময় আরও বলেন, ‘ভদ্রমহিলা আমার বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন আনুমানিক ১০টা ৪০ মিনিটে। আমার পাশের বাড়ির এক যুবক আমায় রাতে জানিয়েছে যে, মেয়েটি হাসতে হাসতেই বাড়ি থেকে বেরোচ্ছিলেন। মেয়েটি ফেসবুক লাইভে বলেছেন যে, উনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। আমার বক্তব্য হলো যে সময়ের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তারপর মেয়েটি প্রায় ২৫ মিনিট আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এরপর আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সল্টলেকে সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল। যিনি এতটা ট্রমাটাইজ হয়ে রয়েছেন তার পক্ষে কি এত কাজ করা সম্ভব?’


আমার বার্তা/জেএইচ