সুইং স্টেটগুলোকে ‘টার্গেট’ ইরানি সাইবার গ্রুপের

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

আজ মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পুরো বিশ্ব নজর রাখছে মার্কিন নির্বাচনের ওপর। রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প, নাকি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস- কে হচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তা নির্ধারণে ভোট দেবেন মার্কিন নাগরিকেরা।

বিভিন্ন জরিপে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে। তবে দেশটির সাত সুইং স্টেটের ফলাফলই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হতে পারেন তা স্পষ্ট করবে। ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অঙ্গরাজ্যকে টার্গেট করেছে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সম্পৃক্ত একটি সাইবার গ্রুপ।  

গবেষকরা ইরান ইন্টারন্যাশনালকে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে সক্রিয়ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে এই সাইবার গোষ্ঠী। যুক্তরাষ্ট্রের যে সাতটি অঙ্গরাজ্য সুইং হিসেবে পরিচিত সেগুলো হচ্ছে, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিন।

সাইবার সিকিউরিটি গবেষক নরিমান গরিব এবং হুইসেল ব্লোয়ার গ্রুপ ল্যাব দুখতেগানের অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, আইআরজিসের সাইবার ইউনিট 'এমেনেট প্যাসাগাড' মার্কিন নির্বাচন বিঘ্নিত ও  উত্তেজনা উসকে দিতে প্রচারণা চালাচ্ছে, বিশেষ করে সাত সুইং স্টেটে।   

'শহীদ শৈশতরী' নামেও পরিচিত এই সাইবার গ্রুপ ২০২৪ সাল থেকে সুইং স্টেটগুলো থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে। নির্বাচনি প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য এসব রাজ্যের সিনেট প্রার্থীদের সরাসরি বার্তা পাঠিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

নরিমান গরিব ইরান ইন্টারন্যাশনালকে বলেন, এবারই প্রথমবার নয় যে ইরানের বিশেষ এই সাইবার গ্রুপ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে লক্ষ্যবস্তু করছে।

ইরানের এই সাইবার গ্রুপ ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনেও হস্তক্ষেপ করেছিল বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ইরানের এই সাইবার গ্রুপকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।  

নরিমান গরিবের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমেনেট প্যাসাগাডের নতুন যে ক্যাম্পেইন তা হলো, মার্কিন ভোটার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করা, ভোটিং সিস্টেমকে ব্যাহত,  গুজব ছড়ানো, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।

 


আমার বার্তা/জেএইচ