বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে কী বলেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার নতুন পরিচালক

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির ন্যাশানাল সিকিউরিটি এজেন্সির ডিরেক্টর (পরিচালক) হিসেবে তুলসী গ্যাবার্ডকে বেছে নিয়েছেন। দেশটিতে হিন্দুদের বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে সোচ্চার হতে দেখা গেছে এই সাবেক ডেমোক্র্যাটকে। এ ছাড়া অতীতে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন তিনি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশে সহিংসতা দেখা যায়। শতাধিক হিন্দু পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সেই সময় বহু হিন্দু মন্দির, বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এই আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটা ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন তুলসী।

তুলসী সেইসময় বলেন, বাংলাদেশের মন্দিরে ভগবানের ভক্তদের বিরুদ্ধে এমন ঘৃণা ও সহিংসতা দেখে আমার মন ভেঙে গেছে। জিহাদিদের এই বিশ্বাস, যে মন্দির ও মূর্তি জ্বালিয়ে দেওয়া এবং নষ্ট করলে তাদের ঈশ্বর সন্তুষ্ট হবেন, আসলে দেখায় যে তারা ঈশ্বর থেকে কতটা দূরে। বাংলাদেশের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের কাছে সময় এসেছে যে তারা হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধসহ সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ঘৃণার জিহাদি শক্তির হাত থেকে রক্ষা করুক।

এর আগে তুলসী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নৃশংসতার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে দায়ী করেন।

২০১৯ সালে, তুলসী গ্যাবার্ড তার হিন্দু পরিচয় সম্পর্কে ‘রিলিজিয়ন নিউজ সার্ভিস’-এর জন্য একটা প্রতিবেদন লিখেছিলেন। সেখানে তিনি হিন্দু হিসেবে নিজেকে গর্ববোধ করেন বলে উল্লেখ করেছিলেন।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুলসীর বর্তমান বয়স ৪৩ বছর। তিনি মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম হিন্দু কংগ্রেস সদস্য ছিলেন।

বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তুলসী। তার বাবা মাইক গ্যাবার্ড এবং মা ক্যারল গ্যাবার্ড। গ্যাবার্ড দম্পতির পাঁচ সন্তানের একজন তুলসী।

১৯৮৩ সালে তুলসী গ্যাবার্ডের বয়স যখন দু’বছর, তখন তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। হাওয়াইতে আসার পর, তার মা ক্যারল হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। তার বাবা একজন রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ছিলেন। হিন্দু ধর্মের প্রভাবের কারণে ক্যারল গ্যাবার্ড তার সন্তানদের হিন্দু নাম রাখেন।