হাসিনার পতনের পর দলে দলে সংখ্যালঘুদের ভারতে পালানোর তথ্য সঠিক নয়
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন
ছাত্র–জনতার নজিরবিহীর গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো খবর প্রকাশ করতে থাকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এ কারণে অনেকে পালিয়ে ভারতে চলে যাচ্ছেন। তবে সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। হাসিনার সরকারের পতনের পর দলে দলে মানুষের ভারতে পালিয়ে যাওয়া বা ভারতে ঢোকার কোনো চেষ্টা হয়নি। রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ছয় বছরের সরকারি তথ্যমতে, বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ভারতে প্রবেশ বা ত্যাগ করার সময় আটকে পড়া অনিবন্ধিত মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়নি।
হিন্দুর প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ১ হাজার ৩৯৩ জন বাংলাদেশিকে আটক করে।
অরপরদিকে, শেখ হাসিনার পতনের আগে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৪ জনকে অনুপ্রবেশের সময় আটক করেছিল বিএসএফ। যার অর্থ সরকারের পতনের পর হাজার হাজার মানুষের সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশ থেকে সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় বিএসএফ ৩ হাজার ৯০৭ জনকে সীমান্ত থেকে আটক করেছে। যার মধ্যে ভারতীয় ও বাংলাদেশি উভয়ই আছে। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৩ হাজার ১৩৭ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৫ হাজার ৯৫ জনকে আটক করা হয়েছিল।
অপরদিকে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৮৭৩ জন ভারতীয় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৮৮ জন ভারতীয় কোনো কাগজপত্র ছাড়াই বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছে।
এদিকে, গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারের পর ফের ভারতীয় মিডিয়া দাবি করে, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে। যাদের অনেকে দেশ ছাড়ার চিন্তা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত চিন্ময় ইস্যু নিয়ে এ ধরনের কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দ্য হিন্দু।
আমার বার্তা/জেএইচ