ইউক্রেনে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্রের ‘ব্যাপক’ ব্যবহার রাশিয়ার

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫, ১৩:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ইউক্রেনে রাশিয়া ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে ডাচ এবং জার্মান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। শনিবার (৫ জুলাই) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এ ঘটনায় মস্কোর বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন ডাচ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুবেন ব্রেকেলম্যানস। তিনি রয়টার্সকে জানান, ‘উপসংহারে আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, রাশিয়া ইউক্রেনে তীব্রভাবে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার করেছে।’
 
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহারের প্রমাণ সংগ্রহ করেছে সংস্থাগুলো। যার মধ্যে দেখা গেছে, ড্রোন থেকে শ্বাসরোধকারী ‘চকিং এজেন্ট’ ( এক ধরনের অস্ত্র) ফেলা হয়েছে। সৈন্যদের পরিখা থেকে বের করে আনার জন্য যাতে তাদের গুলি করা যায়।
 
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটি উদ্বেগজনক কারণ রাশিয়ার এই প্রবণতা আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করছি। যেখানে এই যুদ্ধে রাশিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার স্বাভাবিক এবং ব্যাপক হয়ে উঠেছে।’

এদিকে, জার্মানির বিএনডি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ডাচ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে মিলে এই প্রমাণ পেয়েছে।

অন্যদিকে, ডাচ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (এমআইভিডি) এর প্রধান পিটার রিসিঙ্ক বলেছেন, ‘আমাদের নিজস্ব স্বাধীন গোয়েন্দা তথ্য অনুসরণ করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই আমরা আমাদের নিজস্ব তদন্তের ভিত্তিতে এটি নিজেরাই পর্যবেক্ষণ করেছি।’
 
তবে, ইউক্রেন যুদ্ধে উভয় পক্ষের নিষিদ্ধ রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের বিষয়টি রয়টার্স স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
 
যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের মে মাসে প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে, ক্লোরোপিক্রিন একটি রাসায়নিক যৌগ, যা অত্যন্ত বিষাক্ত এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি প্রথম ব্যবহার করেছিল, তা ব্যবহার করেছে মস্কো।

ইউক্রেনও রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের হাজার হাজার ঘটনার অভিযোগ করেছে।
 
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া। এখন পর্যন্ত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে।


আমার বার্তা/এল/এমই